সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ১৯:১১

দিল্লিতে মুসলমানদের নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দেন হিন্দুরা

দিল্লির অশোকনগর এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকশ উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ঢুকে মুসলমানদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সেখানকার স্থানীয় মসজিদে ওই সময় অন্তত ২০ জন নামাজ পড়ছিলেন। তাদেরকেও বেধড়ক পেটানো হয়। তখন বেকায়দায় পড়া rপ্রায় ৪০ জন মুসলমানকে আশ্রয় দেন ওই এলাকার হিন্দুরা।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) যখন অশোকনগরের মুসলমানদের বাড়িঘর ও দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখন ভুক্তভোগী মুসলমানদের নিরাপত্তা দিয়ে নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দেন হিন্দুরা।

স্থানীয়রা বলছেন, দাঙ্গাবাজরা মসজিদে ভাংচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেয়। তার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। তাদেরকে বারবার করে এসব করতে নিষেধ করা হলেও শোনেনি। বেশিরভাগ যুবকের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল।

অশোক নগরের স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ খেত্রি বলেন, আমরা ব্যাপক ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমাদের মেরে ফেলা হবে। এখানে মুসলমানদের ছয়টি বাড়ি রয়েছে। তারা সেগুলো ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের চেনে বলে কিছু বলেনি।

তিনি আরও বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে এখানে বাস করছি। হিন্দু-মুসলমান এক পরিবারের মতো থাকি।

পিন্টু নামে এক হিন্দু যুবক বলেন, আমি হিন্দু হলেও মুসলমানদের নির্যাতন সমর্থন করি না। আমরা কখনোই মুসলমানদের কু-নজরে দেখি না। তাদের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করি।

নিরাজ কুমার বলেন, সহিংসতার সময় আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি। মুসলমানদের সব রকম সহায়তা করেছি। তাদের দোকান ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রক্ষা করেছি।

দিনেশ কুমার বলেন, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ দেরিতে এসেছে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত