সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ মার্চ, ২০২০ ০২:২৫

করোনা প্রতিরোধে আশা দেখাচ্ছে কানাডা, আছেন বাঙালি গবেষক

ড. রবার্ট কোজাক, ড. সামিরা মোবারাকা ও ড. অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়

নভেল করোনাভাইরাসকে (কোভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। এই ভাইরাসের প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গবেষণায় কানাডার একদল গবেষক এই ভাইরাস প্রতিরোধে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি

প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়ে আশা দেখিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। এই গবেষকদের দলে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন এক বাঙালি; ভারতীয় এই বাঙালির নাম ড. অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের দলের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন ড. রবার্ট কোজাক ও ড. সামিরা মোবারাকা।

অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় টরোন্টোর ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামিত রোগ বিভাগের গবেষক। এই বিভাগ সংক্রামিত রোগ, করোনা ভাইরাসের মতো মহামারী আর বাদুড় থেকে সংক্রামিত রোগ নিয়ে গবেষণা করে থাকে।

জানা গেছে, এই গবেষকের দল কোভিড-১৯-এর চরিত্র চিত্রণ করতে (They can isolates the virus) সমর্থ হয়েছে। ফলে খুব দ্রুত একে নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হবেন গবেষকরা। তৈরি করা যাবে প্রতিষেধক। দু'জন রোগীর লালারস ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কিছুটা হলেও করোনাকে জব্দ করার হদিশ খুঁজে পেয়েছেন তারা।

পরবর্তী গবেষণায় এই ভাইরাসকে জব্দ করা গেলে, এর মহামারী আকার দূর করা সম্ভব হবে। এমনটাই দাবি গবেষক দলের। গবেষণার বিষয়ে অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এর আগে আমরা সার্স ভাইরাসকে জব্দ করতে পেরেছিলাম। সেই পদ্ধতিতেই করোনাকে বাগে আনতে পারবো। তারপর গবেষণা সফল হলে সেই পদ্ধতি অন্য গবেষকদের হস্তান্তর করব, যাতে ওরা প্রতিষেধক তৈরি করতে পারে। এভাবে একটা দলগত প্রতিষেধক তৈরিতে আমরা উদ্যোগ নেবো। যারা এ বিষয়ে বেশি গবেষণা করে প্রতিরোধে সমর্থ হবে, তাদের থেকেই তথ্য গ্রহণ করব।"

তাদের এই কাজ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? এই প্রশ্নের জবাবে ওই বাঙালি বিজ্ঞানী বলেছেন, যতক্ষণ না ভাইরাসের ডিএনএ নমুনা হাতে পাচ্ছি, ততক্ষণ কতটা কার্যকরী বলা মুশকিল। খানিকটা স্মৃতিমেদুর হয়ে অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কৈশোরে আমি সবসময় বন্ধুদের বলতাম, সংক্রমণ ছড়ালেই যাতে আমার ডাক পড়ে।"

বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের প্রকোপে যা হচ্ছে তা দুঃখজনক, জানিয়েছেন ওই বাঙালি গবেষক। "তবে, আমি গর্বিত এই সঙ্কটের মুহূর্তে মানবজীবন রক্ষায় অবদান রাখতে পারছি। মহামারী প্রতিরোধে আমি উদ্যোগ নিতে পারছি। এমনটাই বলেন অরিঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।"

অরিঞ্জয়ের সহ-গবেষক চিকিৎসক সামিরা মোবারাকা বলেন, করোনা প্রতিরোধের প্রতিষেধক তৈরি করার লক্ষেই এগোচ্ছে আমাদের দল। এই চিকিৎসক মোবারাকা, অণুজীব বিজ্ঞানী এবং সংক্রামিত রোগ নিরাময়ের গবেষক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত