লন্ডন প্রতিনিধি

০৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৫:৩২

ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণে দায়ী ইসকন!

ব্রিটেনে করোনাভাইরাস বিস্তারের পেছনে ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে মার্চে এক সমাবেশে যোগ দেওয়া তাদের পাঁচজন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

ইসকন ইউকে শাখার শীর্ষ কর্মকর্তা প্রাঘোসা দাসকে উদ্ধৃত করে গোষ্ঠীর প্রকাশনা ইসকন নিউজে বলা হয়েছে, মার্চের ১২ তারিখে লন্ডনের উপকণ্ঠে ইসকনের এক মন্দিরে তাদের একজন গুরুর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তাদের প্রায় হাজারখানেক সদস্য হাজির ছিলেন।

দুই দিন পর ১৫ মার্চ লন্ডনের কেন্দ্রে তাদের আরেকটি মন্দিরে শ্রুতিধর্ম প্রভু নামে প্রয়াত ওই গুরুর স্মরণসভাতেও কয়েকশ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

ইসকন স্বীকার করেছে এখন পর্যন্ত তাদের যে ২১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যে পাঁচজন মারা গেছেন- তারা সবাই ওই দুটো অনুষ্ঠানে শরীক হয়েছিলেন। বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী সদস্য রয়েছেন। তাদের অনেকের বয়স এমনকি ‘বিশ এবং তিরিশের কোটায়।’

শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া তাদের আরও সদস্য সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন– সে আশঙ্কার কথা ইসকন কর্তৃপক্ষ উড়িয়ে দেননি।

তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে একশ বলে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে যে দাবি করা হচ্ছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসকন।

একই সাথে মার্চের ১২ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে এত বড় সমাবেশ কেন তারা করলো- তার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ।

ইসকন নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদেরকে দোষারোপ করার আগে সমাবেশের সময়কালকে বিবেচনা নেওয়া উচিৎ। সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রাঘোষা দাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে ইসকন নিউজ।

তাদের যুক্তি- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মার্চের ২৩ তারিখে। কিন্তু তাদের ওই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানটি হয়েছে তারও ১০ দিন আগে।

মি. দাসকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, দয়া করে ইউকে যাত্রার ভক্তদের প্রতি রুষ্ট হবেন না। যে কাজ তাদের করার কথা ছিল না, সেটা তারা করলেও ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। তারা মনে করেছেন, তাদের যেটা করা কর্তব্য সেটাই তারা করছেন। তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনকি ইসকনেরই অনেক সদস্য নামে-বেনামে এই সময়ে এত বড় জমায়েত আয়োজনের জন্য গোষ্ঠীর নেতৃত্বের সমালোচনা করছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত