সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০১৬ ১১:৫৫

জামালপুরের ৩ রাজাকার-আলবদরের ফাঁসি, ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

জামালপুরের আট রাজাকার-আলবদরের মধ্যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  

বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার (১৮ জুলাই) এই রায় ঘোষণা করেন। সকাল পৌনে ১১ টায় ২৮৯ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়া শুরু করেন আদালত। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।

এর মধ্যে আসামি মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আদালত রায়ে বলেছেন, সরকার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।

এ মামলার বাকি পাঁচ আসামি অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ওরফে ‘বদর ভাই’, এস এম ইউসুফ আলী, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবুল হাশেম ও হারুনকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

আসামিদের মধ্যে শামসুল ও ইউসুফ রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আমৃত্যু সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন তারা।

বাকিদের পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।  

এই আট আসামি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন। সে সময় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় তারা যেসব মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটান, তা এ মামলার বিচারে উঠে এসেছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়।

মামলার বিচারিক কার্যক্রম
২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকউশনের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে একই বছরের ২ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরদিন নয়াপাড়ার বাড়ি থেকে শামসুল ও ফুলবাড়িয়ার জাহেদা শফির মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিয়ম অনুযায়ী বাকিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২২ জুলাই। কিন্তু তারা তা করায় এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় তাদের পলাতক দেখিয়েই মামলার বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।  

যুদ্ধাপরাধের পাঁচ অভিযোগে গত বছর ২৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই আটজনের বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্য ও জেরার কার্যক্রম।

২০১৬ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ২৫ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে চলতি বছর ১৯ জুন আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন।

এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। অন্যদিনে গ্রেপ্তার দুই আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও গাজী এম এইচ তামিম। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার।

কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
প্রথম অভিযোগ : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও শান্তি কমিটির সদস্য শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলী ও তাদের অন্য সহযোগীরা তৎকালীন জামালপুর মহকুমায় সাধারণ মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটনায়। শাস্তি কমিটির পরামর্শ ও নির্দেশনায় পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় আল-বদর বাহিনী দুই আসামির অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় একাত্তরের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামালপুরে হত্যা-ধ্বংস চালায়; স্বাধীনতাকামী এক হাজার লোককে হত্যা করে তারা।

এ ঘটনায় শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগ : আসামি আশরাফ হোসেন, শরীফ আহমেদ, আব্দুল মান্নান, মো. হারুন ও আব্দুল বারী ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই এবং ২২ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার মইষ ভাদুরিয়া ও ধূপদহ গ্রামের শহীদ আব্দুল হামিদ মোক্তারের বাড়ি, মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়ার বাড়ি, আমির আলী খানের বাড়ি, পিটিআই হোস্টেলের টর্চার ক্যাম্প ও জামালপুর শ্মশানঘাটে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

এ ঘটনায় শরীফ হোসেন, মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারী ও হারুনের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তৃতীয় অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১০ জুলাই রাত ৩টার দিকে আসামি শরীফ আহমেদ, আশরাফ হোসেন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল বারী, আবুল হাসেম, শামসুল হক, ইউসুফ আলী ও আল-বদর বাহিনীর সদস্য ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জামালপুরের সিঅ্যান্ডবি রোডের (পুরাতন) দয়াময়ী লেনের মল্লিক ভিলা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন শহীদ নুরুল আমীনকে অপহরণ করে। তারপর ওইদিন সকাল ১০টায় তার মরদেহ ব্রহ্মপুত্র নদের চ্যাপতলা ঘাটে ভেসে ওঠে।

এ ঘটনায় শরীফ হোসেন, মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারী, মো. আবুল হাশেম, শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চতুর্থ অভিযোগ : জামালপুরে আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে বদর বাহিনী গঠিত হয়, তিনি সে সময় মহকুমাটির ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন। জামালপুরের আশেক মাহমুদ ডিগ্রি কলেজকে সে সময় নির্যাতন কেন্দ্র ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করা হত, যার প্রধান ছিলেন আশরাফ হোসেন। আসামি আশরাফ হোসেনের পাশাপাশি আল বদরের সদস্য শরীফ আহমেদও জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। আব্দুল মান্নান, আব্দুল বারীসহ অন্যদেরও সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। একাত্তরের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিরা সেখানে অনেককে আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় শরীফ হোসেন, মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. আব্দুল বারীর বিরুদ্ধে আটকে রিখে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পঞ্চম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামি শরীফ আহমেদ, আশরাফ হোসেন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল বারী, আবুল হাসেম, শামসুল হক ও ইউসুফ আলী এবং স্থানীয় আল বদর বাহিনীর সদস্য ও পাক সেনারা জামালপুরের পিটিআই হোস্টেলকে নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। সেখানে হাজারখানেক নিরস্ত্র মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হত এবং রাতে তাদের ব্রহ্মপত্র নদের তীরে শ্মশান ঘাটে নিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হত।

এ ঘটনায় শরীফ হোসেন, মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারী, মো. আবুল হাশেম, শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আটকে রিখে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

কার কী শাস্তি

১ম অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হয় নি।
২য় অভিযোগে মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং শরীফ হোসেন ও হারুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৩য় ও ৪র্থ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং সবাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।
৫ম অভিযোগ প্রমাণ হয় নি।

আসামিদের কার কী পরিচয়
আশরাফ হোসেন: অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি জামালপুরের সদরের মিয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা মো. আশরাফ হোসেন (৬৪) মুক্তিযুদ্ধের সময় তখনকার জামালপুর মহকুমার ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন। আশেক মাহমুদ কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভার্তি হলেও তা শেষ করেননি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর আশরাফের নেতৃত্বেই জামালপুরে আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়। যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় ঘটলে তিনি ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে পাটনা চলে যান এবং বিয়ে করে সেখানেই বসবাস শুরু করেন বলে প্রসিকিউশনের তথ্য।  

আব্দুল মান্নান: প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৮ সালের ২ নভেম্বর কাচারিপাড়ায় গ্রামে জন্মগ্রহণ করা আব্দুল মান্নান (৬৬) ১৯৭১ সালে জামালপুরের ইসলামী ছাত্র সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনিও আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্র ছিলেন, তবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করতে পারেননি।  দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মান্নান আর রাজনীতিতে সক্রিয় হননি বলে মামলার অভিযোগপত্রের ভাষ্য।

আব্দুল বারী: মো. আব্দুল বারী (৬২) ১৯৬৯ সালে জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বহুদিন তিনি কাজ করেছেন ইরানি দূতাবাসে। ওই কাজ ছাড়ার পর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে বারী জামালপুরের ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় হননি বলে রাষ্ট্রপক্ষের ভাষ্য।

শরীফ আহমেদ: জামালপুর সদরের কাচারিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা শরীফ আহমেদ ওরফে শরিফ হোসেন (৭১) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করার পর ধনবাড়ী কলেজের প্রভাষক ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় কাজ করেন। ১৯৭১ সালে শরীফ জামালপুরে জামায়াতে ইসলামীর নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও পেশাগতভাবে জামায়াত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের ভাষ্য।

হারুন: ১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করা হারুন (৫৮) রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবুল হাশেম: প্রসিকিউশন বলছে, ইসলামী ছাত্র সংঘের রাজনীতিতে যুক্ত মো. আবুল হাশেম (৬০) ১৯৭১ সালের পাকিস্তান পুলিশে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অপসারিত হলে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

শামসুল হক: মো. শামসুল হক (৭৫) ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। পরে ১৯৬৯ সালে তিনি জামালপুর বারের আইনজীবী হন ও আইন পেশায় কাজ শুরু করেন। ১৯৬১ সালে জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজের ভিপি ছিলেন শামসুল। ১৯৭০ সালে তিনি জামায়াতে যোগ দেন এবং  গ্রেপ্তার হওয়ার সময়ও তিনি দলে সক্রিয় ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের ভাষ্য।

ইউসুফ আলী: সিংহজানি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা এস এম ইউসুফ আলী (৮৩) জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে। জামায়াতের মনোনয়নে ১৯৭০ সালে এমএনএ নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। ২০০২ সালে স্কুলের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া ইউসুফ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিক্রিয়া
জামালপুরের তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

তুরিন বলেন, “আমরা নিঃসন্দেহে এই রায়ে অত্যন্ত খুশি। কারণ এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের কনভিকশন রেট শতভাগ। আজকের রায়েও ব্যতিক্রম ঘটেনি।”

“একটি ঘটনা, ৭১ সালের এতো বছর পর তদন্ত করতে গেলে সেক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা আমরা স্বীকার করি। তারপরও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করেছি।

আদালত দণ্ডিত পলাতকদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তুরিন বলেন, “আইজিপিকে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

আসামিপক্ষের প্রতিক্রিয়া
আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকা  দুই আসামি অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ওরফে ‘বদর ভাই’ ও এস এম ইউসুফ আলী আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।

তামিম রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, “ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন, তাতে ১ নম্বর ও ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে আমার আসামিদেরকে খালাস প্রদান করেছেন। একটি অভিযোগে আজীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।

“আমি মনে করি এবং আমার আসামিদের ইনস্ট্রাকশন হলো- এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”

আসামীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে আপিল বিভাগ আসামিদের নির্দোষ সাব্যস্ত করে খালাস দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই আইনজীবী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত