সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ অক্টোবর, ২০১৬ ২০:১৫

সাকার রায় ফাঁস মামলায় ব্যারিস্টার ফখরুলের সহকারী কারাগারে

ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) রায় ফাঁস মামলায় সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তিনি এ মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী ছিলেন।

রোববার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী মেহেদী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক কে এম সামসুল আলম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অন্য আসামিদের সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন- ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান, জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে তার আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের সামনে প্রদর্শন করেন।

রায় ঘোষণার পরদিন (২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত