সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

০৩ জুন, ২০১৬ ০১:৫৩

৮টি ভুলে ভিসার আবেদন খারিজ হয়ে যেতে পারে

ভিসার আবেদন খারিজ হওয়া কোনও নতুন কথা নয়। বাংলাদেশিরা এই নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন। কিন্তু কিছু সামান্য ভুলের জন্যেই খারিজ হয় আবেদনগুলি। জেনে নিন কী কী ভুল।


১) ভিসা ফর্মে যে তারিখটিতে যাত্রা করবেন বলে লেখা হয়েছে, ফ্লাইট টিকিট যদি সেই তারিখ না হয় তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন এবং খারিজ করে দেন আবেদন।

২) ভিসা ফর্মের ঠিকানা লেখার সময়ে যদি পোস্ট অফিস বক্স নম্বর লেখা হয় তবে আবেদন খারিজ হয়। কারণ পিও বক্স নম্বরকে ঠিকানার অংশ ধরা হয় না এবং ভিসা কর্তৃপক্ষ ঠিকানার অংশটিতে নির্ভুল এন্ট্রি দেখতে চান।

৩) কোনও কোনও এমব্যাসি ভিসা ফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত ছবি নিয়ে খুব কড়াকড়ি করে। ছবিটি অবশ্যই বিগত ৯০ দিনের মধ্যে তোলা হতে হবে। এর আগে অন্য কোনও ভিসা আবেদনে ওই একই ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও আবেদন বাতিল হতে পারে। তাছাড়া কোনও অস্পষ্ট ছবি, যেখানে মুখটি ভাল করে বোঝা যাচ্ছে না, এমন ছবি থাকলে আবেদন মঞ্জুর হবে না।

৪) ব্যাংক স্টেটমেন্টে যদি ব্যাংকের সিল না থাকে তবে সেটির সঙ্গে সাধারণ প্রিন্ট আউটের কোনও পার্থক্য নেই। এই কারণেও আবেদন খারিজ হয়।

৫) কী জন্য বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন তার একটি কারণই ফর্মে উল্লেখ করা উচিত। যেমন কারও যদি ব্যবসার কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার থাকে এবং তিনি ভাবেন একই সঙ্গে সেখানে যে আত্মীয়েরা থাকেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন তবে হয় তাঁকে লিখতে হবে যাত্রার উদ্দেশ্য ‘ব্যবসা’ অথবা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণ। ভিসা কর্তৃপক্ষ সোজাসাপ্টা স্পষ্ট উত্তর চান, ধোঁয়াশা নয়। তাছাড়া ব্যবসার কারণে কেউ বিদেশে গেলে আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না এমনটা নয়।

৬) ভিসা আবেদন ফর্মে কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফাঁকা রেখে দিলে সেই আবেদন সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যায় কারণ আবেদনটি অসম্পূর্ণ থাকে।

৭) পাসপোর্টে আর ভিসা ফর্মে সই যদি আলাদা রকম দেখতে লাগে, তবে বাতিল হয়ে যেতেই পারে আবেদন।

৮) আগামী ৬ মাসের মধ্যে যদি পাসপোর্টের ভ্যালিডিটি শেষ হয়, তবে ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। হয়তো আগামী এক মাসের মধ্যেই কারও বিদেশ গিয়ে আবার দেশে ফিরে আসার কথা। তা সত্ত্বেও আগামী ৬ মাসের ভ্যালিডিটি থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত