সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ জুন, ২০২০ ২১:০০

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত আরেক চিকিৎসকের মৃত্যু

রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে যেতে হলো ডা. সমিরুল ইসলাম বাবুকে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

করোনা থেকে সারিয়ে তুলতে প্লাজমা থেরাপিসহ সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো গেল না এই চিকিৎসককে। একটানা ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে করোনার কাছে হার মানতে বাধ্য হলেন এই করোনাযোদ্ধা।

বুধবার (২৪ জুন) দুপুর ২ টার দিকে নগরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিজ্ঞাপন

শুরু থেকে ডা. সমিরুলের চিকিৎসায় নিয়োজিত করোনা মোকাবিলায় স্বাচিপ গঠিত কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, প্লাজমা থেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা পেয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ডা. সমিরুল। করোনামুক্ত হওয়ার পর খানিকটা সেরে উঠায় কিছুদিন আগে তাকে চমেক হাসপাতাল থেকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে একটি কেবিনে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার সকালের দিকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে তিনি মারা যান।

গত ২১ মে করোনা আক্রান্ত হলে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ডা. সমিরুলকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ মে চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী হিসেবে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয় তাকে। চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৩১ মে ডা. সমিরুলের করোনা নেগেটিভ ফলাফল এলেও ঝুঁকিমুক্ত নন বলে জানান চিকিৎসকরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত