সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জুলাই, ২০২০ ১৬:০৯

গণস্বাস্থ্যকে ফের সিআরও’র শরণাপন্ন হতে বলল ওষুধ প্রশাসন

বিদ্যমান সরকারি নিয়ম মেনে আবারও কন্ট্রাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অ্যান্টিবডি কিটের সক্ষমতা (ভ্যালিডেশন) যাচাই করতে বলেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডি‌জি‌ডিএ)।

রোববার (৫ জুলাই) দুপুরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করে গণস্বাস্থ্যের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সেখানে ওষুধ প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল (উপাধ্যক্ষ) ও কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ডি‌জি‌ডিএ আমা‌দের কথা ইতিবাচকভাবে শু‌নে‌ছে। আমরা অ্যা‌ন্টিব‌ডির বিষ‌য়ে ইন্টারনাল ভ্যালি‌ডেশন রি‌পোর্টকে আম‌লে এনে নিবন্ধ‌নের অনু‌রোধ ক‌রে‌ছিলাম। ডি‌জি‌ডিএ বিদ্যমান সরকারি নিয়‌মে আবার সিআরওর মাধ্য‌মে ইউএস এফ‌ডিএ (ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) আম‌ব্রেলা গাইডলাইন্স এক্সটারনাল ভ্যালি‌ডেশন কর‌তে ব‌লে‌ছেন। এজন্য আমা‌দের আবেদিত রি-এজে‌ন্টের (কিট) জন্য এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দে‌বেন। অ্যান্টি‌জেনের নী‌তিমালা আগা‌মী বুধবার চূড়ান্ত হ‌বে। একটা ফর‌মেট পাঠা‌বেন। ওটা অনুযায়ী প্র‌টোকল আপ‌ডেট ক‌রে জমা দি‌তে ব‌লে‌ছেন।’

এ বিষয়ে ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, নতুন কিছু করতে গেলে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আবার একইরকম সিআরও’র মাধ্যমে এক্সটারনাল ভেলিডেশন করতে হবে। তারা যে নতুন গাইডলাইন দিয়েছে, সেটা অনুযায়ী করতে হবে। আমরা সেটা করব। তারা যতটা সম্ভব কাগজপত্র করে দেবে বলেছে। অ্যান্টিবডির তো একটা গাইডলাইন তারা তৈরি করে দিয়েছেন। তারা অ্যান্টিজেনেরও একটা ফরমেট আমাদেরকে দিয়েছেন। এটা হলেই আমরা জমা দিয়ে দেব।

তিনি আরও বলেন, এর আগে আমরা বলেছিলাম, আইসিডিডিআর,বি ও বিএসএমএমইউর কাছ থেকে আমরা সিআরও করব। বিএসএমএমইউ রাজি হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে করিয়েছিলাম। তবে ওই সময় যেসব সিআরও প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল, তারা বেশিরভাগই নামকাওয়াস্তে। ওই সময় আমরা বলেছিলাম, দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানেই (বিএসএমএমইউ) করাব।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনার কিট উদ্ভাবনের পর এর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কিছু সিআরও প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেয়। তবে সেসব প্রতিষ্ঠানে কিটের সক্ষমতা যাচাই করবে না বলে জোর আপত্তি তোলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

তারা জানায়, সেসব প্রতিষ্ঠানে নয়, সরকারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), আইসিডিডিআর,বি কিংবা শিশু হাসপাতালে কিটের সক্ষমতা যাচাই করবে। একপর্যায়ে গণস্বাস্থ্যের দাবি মেনে নিয়ে বিএসএমএমইউকে সিআরও প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ করে কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন।

তবে বিএসএমএমইউ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিজেন কিটের সক্ষমতা যাচাই করে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। প্রতিবেদন প্রকাশের দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএসএমএমইউ জানায়, করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর নয়। যদিও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বলছে, প্রতিবেদনে তাদের কিটের সক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে।

এরকম পরিস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে সময় চায় ওষুধ প্রশাসনের কাছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন সময় দিলে আজ তারা বৈঠক করে। এখন তাদেরকে আবার অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিটের সিআরও’র মাধ্যমে সক্ষমতা যাচাই করতে বলল ওষুধ প্রশাসন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত