সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জুলাই, ২০২০ ১৮:৫৫

ঈদ উল আযহার জামাত মসজিদে পড়ার আহবান

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাছের মসজিদে আদায় করার জন্য মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এ বছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল (অনলাইন) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার আনোয়ার হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত ক‌রেন।  সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম। সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদুল আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে বাণী দেবেন। এ উপলক্ষে সরকারি/বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং ‘ঈদ মোবারক’ খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ডে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।

ঈদুল আজহার রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনে এবং সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সারাদেশের বিভাগ/ জেলা/ উপজেলা/ সিটি করপোরেশন/ পৌরসভা/ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকারি সংস্থার প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজও কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল আযহা উদযাপন করবে।  বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যম যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে।

ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল/ কারাগার /সরকারি শিশুসদন/ বৃদ্ধনিবাস /মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনে যথাযথভাবে ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে।  এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোরবানির পর পশুর রক্ত/বর্জ্য পদার্থের কারণে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদুল আজহার আগে জুমার খুতবায় এবিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করা হবে।

এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. আনিছুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, তথ্য, জনপ্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।   

সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম এর পক্ষে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, মাওলা নুরুল আমিন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল  আলিম রিজভী, মুফতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা ড. কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী প্রমুখ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত