সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৪

সড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে আদালতের ৪ নির্দেশনা

বাংলাদেশের সড়কের প্রতিটি জায়গায় মৃত্যু ফাঁদ তৈরি হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে পায়েল হত্যা মামলার রায়ের সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আদালত চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

রোববার (১ নভেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার সময় নির্দেশনায় এ কথা বলেন।

নির্দেশনাগুলো হলো,
ক. চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের গাড়ির দায়িত্ব দেওয়ার আগে তারা মাদক সেবন করেছেন কি না, তা জানতে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। এ ছাড়া গাড়ি ছাড়ার আগে কাউন্টারে, রাস্তায় বিরতির স্থানে এবং গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছার পর গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে।

খ. গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা বেশিরভাগ সময় যাত্রীদের সঙ্গে কর্কশ ও অভদ্র আচরণ করেন। এ ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই যাত্রীদের সঙ্গে নম্র ও ভদ্র আচরণ করতে হবে। এ জন্য গাড়ি চালানো ও যাত্রীদের সঙ্গে কাউন্সিলিংয়ের বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

গ. মহাসড়কে প্রতি তিন কিলোমিটার পর পর গাড়ির চালক, সুপারভাইজার, হেলপার ও যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্রি আধুনিক বাথরুম ও টয়লেট স্থাপন করতে হবে। তবে এজন্য বাস মালিকরা সরকারের সড়ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা প্রদান করবেন।

ঘ. মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের ওপর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে বাস মালিক, ড্রাইভার, সুপারভাইজার, হেলপার ও যাত্রীদের সচেতন করতে হবে।

এর আগে বিচারক আজ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের বাসচালক ও দুই সহকারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ঘটনার প্রায় দুই বছর পর গত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এ সময় তিন আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, সুপারভাইজার জনি ও সহকারী ফয়সাল হোসেন। নিহত পায়েল চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরের বাসিন্দা গোলাম মাওলার ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান পায়েল। কিন্তু ২৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত