সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:১৬

বুড়িমারীতে জুয়েল হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলী

রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান মো. শহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) লালমনিরহাটের বুড়িমারী উপজেলায় পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার মামলায় এজাহারনামীয় ১ নং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো.আবুল হোসেন ওরফে হোসেন আলী (৪৫)। শনিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ালিদ নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আবুল হোসেনকে আজ শনিবার ভোরে ভাটারা থানা কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আবুল হোসেন পুলিশের নজরদারিতে ছিল। পরে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের এক টিমের কাছ থেকে গোপন সংবাদ আসে-আবুল হোসেন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় থাকবে। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের একটি টিম কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে ভোরে বাস থেকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় নামলে ডিবি পুলিশের টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

ওয়ালিদ হোসেন বলেন, তাকে লালমনিরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং জেলা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। এছাড়া বিস্তারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে বলে যোগ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে জুয়েলকে হত্যার পরে লাশ টেনে নিয়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে পেট্রোল, কাঠখড়ি ও টায়ার দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। পরে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার দায়ে নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) একটি মামলা দায়ের করেন।

নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি.এম.এ মমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাত ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার এসআই শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনাস্থল তদন্ত করে মসজিদের কোরআন অবমাননার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত দলের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির। এটা স্রেফ একটি গুজব বলে দাবি করা হয়েছে। তা ছাড়াও হত্যার পেছনে ধর্ম অবমাননার কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত