সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৩৩

শাহ মখদুম মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের উপর বাঁশ-রড নিয়ে হামলা

রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৯ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন।

তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের ডেকে নিয়ে মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুজ্জামান স্বাধীন এ হামলা করিয়েছেন।

রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন রায়হান, তাহসিন, সাব্বির, ফাওজিয়া, বিদিশা, মেধা, রেফাত, নিশাত ও জেবা।

বিজ্ঞাপন

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী গতকাল বিকেলে কলেজ হোস্টেল থেকে তাঁদের শীতের কাপড় নিতে যান। প্রথমে তাদের হোস্টেলে যেতে বাধা দেওয়া হয়। পরে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় অতর্কিত হামলা করে বহিরাগত কয়েকজন ক্যাডার। তারা মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনেই শিক্ষার্থীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটির চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ধরে ধরে পেটানো হয়। এতে অনেকেই রক্তাক্ত হন। পরে স্থানীয় ও অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে।

রিয়াজুল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের ভাই মিথুল ও টিটুর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এতে বহিরগাত ও কলেজের কর্মচারীরাও অংশ নেন। তারা মেয়েদেরও ধরে ধরে পেটাতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

গত ২ নভেম্বর শিক্ষালয় স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা লঙ্ঘন করায় রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করে। ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা এমবিবিএস শেষ করতে পারেননি, তাদের রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মাইগ্রেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বন্ধ ঘোষণা করার পর আজ শনিবার ঢাকা থেকে একটি টিমের রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করার কথা। ওই খবর পেয়েই মূলত শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শিক্ষার্থীদের যাতে দ্রুত অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়, সেই বার্তা তদন্তদলের কাছে তুলে ধরতে তারা সমবেত হয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতেই এ হামলার ঘটনা ঘটায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত