সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৩৩

বোনকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবককে হত্যা

ছোট বোনকে ধর্ষণচেষ্টার জেরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার একটি গ্রামে এক যুবককে খুন করা হয় বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশের ভাষ্য, মা-বাবা ও বোন মিলে ওই যুবককে হত্যা করেন। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে তারা প্রচার করেন।

ঘটনার ১৮ দিন পর শুক্রবার বাড়ির পাশের ডোবা থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পুরুষাঙ্গ কাটা ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বাড়ির এত কাছে যুবকের মরদেহ পাওয়া যাওয়া এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্বজনদের অসংলগ্ন বক্তব্যে প্রথম থেকে সন্দেহ হতে থাকে পুলিশের।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবকের মা পুলিশকে বলেন, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন প্রতিবেশী আরেক যুবক তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রেখেছেন। এতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। তবে যুবকটি মাদকাসক্ত থাকায় এবং স্থানীয় প্রভাবশালী ছেলের সঙ্গে বিরোধ থাকায় সবগুলো বিষয়ই মাথায় রাখে পুলিশ।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার চার জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটির মা-বাবা ও বোন ওই যুবককে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

তারা বলেন, ওই যুবকের ছোট বোন (১৫) গত বছর অন্য একজনের ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এরপর ২১ ডিসেম্বর রাতে ওই যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটির চিৎকার শুনে মা-বাবা ছুটে আসেন। এ সময় রাগের মাথায় মা তার ছেলেকে ঘরে নিয়ে মুখে বালিশ চেপে ধরেন। আর বাবা তার হাত-পা ধরে রাখেন। এরপর একপর্যায়ে বোন ছুরি দিয়ে যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।

ওসি আরও জানান, আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও গামছা উদ্ধার করা হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান জানান, যুবকের স্বজনরা প্রতিপক্ষ একজনের ওপর দায় চাপাতে চেয়েছিলেন। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বার বার পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে তাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়নি পুলিশ। সঠিক তদন্ত শেষে এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত করেছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, মা-বাবা ও বোনকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে রাখা হয়েছে। রোববার তাদের আবার আদালতে তোলা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত