সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ মার্চ, ২০২১ ১৯:২৩

আ. লীগে কি সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে, প্রশ্ন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির

সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা, স্থানীয় ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচি না না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে দেখলাম না এই বিষয়টি (সুনামগঞ্জে সাম্প্রদায়িক হামলা) নিয়ে মুখ খুলতে। আওয়ামী লীগেও কি সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে?’

সনজিত বলেন, ‘সুনামগঞ্জে বিভিন্ন বাম সংগঠন সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু আমার কষ্ট লাগল যে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ কী করল, উপজেলা ছাত্রলীগ কী করল? কেন তারা একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি করল না? এই বিষয়গুলো আমাদের ভাবায়। প্রশাসনের নীরবতাও আমাকে বারবার ভাবায়। আমরা কি ধরে নেব যে প্রশাসনে সব সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে, আওয়ামী লীগেও কি সাম্প্রদায়িক লোকজন ঢুকে গেছে? আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে দেখলাম না এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে।’

সনজিত বলেন, ‘মামুনুল হকেরা শান্তির ধর্ম ইসলামকে কলুষিত করছে। তাদের এ ব্যবসার শেষ কোথায়? আমরা সর্বধর্মীয় ও সর্বদেশীয় সব ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানি ও হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সনজিত এসব কথা বলেন। ‘সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত সবার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাস, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সরকার জহির রায়হান, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সোহান খান, সাইফ বাবু, তিলোত্তমা শিকদার, নজরুল ইসলাম ও আনন্দ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। মামুনুল হককে নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে গত মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। পরে গতকাল বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা ও লুটপাট চালায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত