১১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:৪৯
শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে যে নাম্বার দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে সেই নাম্বারটি সালেহ ফুয়াদ নামে নিবন্ধিত থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
"ট্রু কলার এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন" দিয়ে যাচাই করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনে এই এপ্লিকেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালু থাকা অবস্থায় কোন অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলে বা কোন অচেনা নাম্বার এটি দিয়ে খোঁজ করলে যে নামে নিবন্ধিত আছে কিংবা এই নাম্বারটি তাঁর পরিচিতজনেরা যে নামে সংরক্ষণ করে রেখেছেন তা বের হয়ে আসে।
ট্রু কলার স্মার্টফোনে কলারের তথ্য যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষিত মাধ্যম বলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে ০১৭৩৮-৭২৫৮১৫ নম্বর থেকে ইংরেজিতে লেখা বার্তায় হুমকি দিয়ে বলা হয়-
‘আপনি কেন রূঢ় ব্লগারদের সমর্থন করছেন, তাদের বক্তব্য কেন তুলে ধরছেন? আপনি কি চাপাতির আঘাতে মৃত্যুর সময় হাঁসফাঁস করতে চান?’
হুমকি পাওয়ার পর আনিসুজ্জামান গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এদিকে, ফেসবুকে নাম্বার অনুসন্ধানে দেখা যায়, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে যে নাম্বার দিয়ে হুমকি সম্বলিত বার্তা দেওয়া হয় সে নাম্বার সিলেট থেকে প্রকাশিত "মাসিক নবধ্বনি" পত্রিকা বিক্রির জন্যে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
৭, এপ্রিল ২০১৩ সালে "মাসিক নবধ্বনি" পত্রিকার ফেসবুক পেজে বলা হয় Please call- Saleh Ahmed Fuad +8801738725815, Sylhet.
ফলে হুমকিদাতার এই নাম্বারের সাথে সালেহ ফুয়াদ ও "মাসিক নবধ্বনি"র সম্পর্ক থাকতেও পারে।
সম্প্রতি দেশের বেশ কজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এসব হত্যার হুমকির মধ্যে লেখক-প্রকাশের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। চাপাতির কোপে প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপনকে হত্যা করা হয় এবং এরপর দীপনের বাবাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে লেখক, ব্লগার ড. অভিজিৎ রায়কে হত্যার পর ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, লেখক-প্রকাশক হত্যা, হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে যে ৩৮ বিশিষ্ট নাগরিক যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন সেখানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের নামও ছিল।
আপনার মন্তব্য