সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:৫৯

সাকা–মুজাহিদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করার দাবি

জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে দুই মানবতাবিরোধী অপরাধীর সাজা শেষ হয়ে যায়নি। এখন এই অপরাধীদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর রোববার শাহরিয়ার কবীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাকা চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন। তিনি ছিলেন রাজনীতির কদর্য এক উদাহরণ। তিনি কেবল শেখ হাসিনাকেই গালি দেননি, জিয়াকেও গালি দিয়েছেন। সাকা চৌধুরী রাজনীতিতে যে অশ্লীলতা চালু করেছিলেন, তা যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। সাকা স্বাধীনতার পরও ৪৪ বছর বেঁচে ছিলেন, তাঁর ফাঁসিই যথেষ্ট নয়। তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এই সম্পদ শহীদ পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। সাকা ছিলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় এজেন্ট। সাকাকে বাঁচানোর জন্য সে দেশের কূটনীতিকেরা মরিয়া হয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ করেছেন ও তাঁকে রক্ষার ষড়যন্ত্র করেছেন। একাত্তরে পাকিস্তানের সামরিক পরাজয় হয়েছিল। কিন্তু এবার সাকার ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও আদর্শিক পরাজয় হলো। সাকা মনে করেছিলেন তাঁর হাত অনেক লম্বা। কিন্তু বাংলাদেশের আইন প্রমাণ করেছে, আইনের হাত তাঁর চেয়েও অনেক লম্বা।

মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বিষয়ে শাহরিয়ার কবীর বলেন, মুজাহিদ যেহেতু নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন, তাই সরকারের উচিত হবে কোনো ধরনের সমঝোতা না করে এর মাধ্যমে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার শুরু করা। তাঁর স্বীকারোক্তি নিজামীসহ অন্য জামায়াতের নেতাদের বিচারে ভালো একটি নথি হিসেবে কাজ করবে। এ বিষয়ে কালবিলম্ব করা ঠিক হবে না। এ ছাড়া মুজাহিদসহ জামায়াতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। এগুলোও শহীদ পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। নুরেমবার্গ ট্রায়ালে এভাবে দণ্ডপ্রাপ্তদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার উদাহরণ আছে। জামায়াতের নেতা ও তাদের আর্থিক খাত বাজেয়াপ্ত না করলে এ দেশে আবার জামায়াত ডাল-পালা তৈরি করবে। জঙ্গি তৈরি হবে। তাই সরকারকে তাদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত