সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৪:৪৬

মুক্তিযুদ্ধবিরোধী খান-এ-সবুরের নামে স্থাপনার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী খান-এ-সবুরের নামে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকা স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এজন্যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে খুলনার মেয়রকে এসব স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

রোববার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর এটি আবার হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে।

গত ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিজড়িত 'যশোর রোডের' নাম ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই বেঞ্চ। রোডটি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী 'খান-এ-সবুর' এর নামে নামকরণ করা হয়েছিল।

৩ নভেম্বরের ওই নির্দেশে তখন থেকে সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন বিচারপতিদ্বয়। খুলনা সিটি করপোরেশনের আইনজীবী রোববার আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেন। তবে সেই প্রতিবেদন যথাযথ হয়নি বলে জানিয়েছেন আদালত। এ জন্য খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে আরও ১৫ দিন সময় দিয়ে এর মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট।

রোববার আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক। অপরদিকে খুলনার মেয়রের পক্ষে ছিলেন এম এ গফুর।

মহান স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নামকরণ স্থগিত চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর।

এ বিষয়ে ২০১২ সালের ১৪ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সেসবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী, তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

স্বাধীনতাপূর্বকালের মুসলিম লীগ নেতা খান-এ-সবুরের নাম স্বাধীন বাংলাদেশে দালাল আইনে বিচার শুরুর সময় প্রকাশিত ছয়শ' স্বাধীনতাবিরোধীর তালিকায় ছিল। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের ওই মন্ত্রীর নামে যশোর রোডের নামকরণ করা হয় পরে। ২০১২ সালের ওই রুলে যশোর রোড নামের পরিবর্তে খান-এ সবুরের নাম ব্যবহার স্থগিতের অন্তর্বতীকালীন আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের ওই নির্দেশ অনুসরণ করা হচ্ছে না মর্মে এ বছরের ২৫ আগস্ট আরেকটি আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির। এ আবেদনের শুনানি করে গত ৩ নভেম্বর সাত দিনের মধ্যে 'যশোর রোড' নামটি ফিরিয়ে আনার আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত