বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনের মধ্যে ১৭ আসামি হাই কোর্টে জেল আপিল করেছেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ১৭ জনের জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার (অ্যাডমিশন) ওপর হাই কোর্টে শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে এসে পৌঁছায়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড‍ দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এছাড়া এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।

গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ওই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ কারাবন্দি জেল আপিল করেছেন। তারা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম অরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), মো. সাদাত এ এস এম নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমী (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১) এবং মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০)।

বাকি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি এহতেশামুল রাব্বি অরফে তানিম (২০) মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২) মুজতবা রাফিদ (২১) পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩), ও মো. মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)। তবে তারা আপিল করেছেন কি না তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তারা সবাই বুয়েটেরই শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ। মামলায় রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।