সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ০১:১১

চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল পাস

মঙ্গলবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে দুটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। বিল দুটি হলো- প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) আইন ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল-২০১৬।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিল দুটি উত্থাপন করেন। বিল দুটির মধ্যে বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল- ২০১৬ পাস হয়েছে।

প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ( কতিপয় আইন সংশোধন) আইন বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ দ্বারা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ কার্যকারিতা হারায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘দ্য ডিফেন্স সার্ভিস (সুপ্রিম কমান্ড) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ অধ্যাদেশটি (১৯৭৯ সালের ১নং আইন ) আদালত কর্তৃক বিলুপ্ত হওয়া সময়ের মধ্যে জারিকৃত। ‘অধ্যাদেশটির অধীন বিধানসমূহের কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষে নতুন আইন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিল প্রণয়ন করা হয়েছে। বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন এবং তিনি তার উপর ন্যস্ত প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের প্রধানগণের মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন। কার্যকারিতা হারানো অধ্যাদেশটির স্থলে এ সংক্রান্ত নতুন আইনরে খসড়া বিল মন্ত্রিসভা নীতিগতঅনুমোদন করেছে।’

এর আগে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিয়মাণ হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন জনগণের অর্জিত অধিকার সংরক্ষণ এবং বহাল ও অক্ষুন্ন রাখার জন্য জনস্বার্থে অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা প্রদান আবশ্যক। তাই আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনী শূন্যতা সমাধানকল্পে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। পরে সংবিধানের ৯৩ (২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা পূরণ কল্পে বাতিল ঘোষিত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৩ প্রণীত হয়।

আইনের ৩ ধারায় বলা হয়, ‘দ্যা ডিফেন্স সার্ভিস (সুপ্রিম কমান্ড) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ অধ্যাদেশটি এতদ্বারা উল্লেখিত ও রহিত করা হলো। তবে রহিতকরণ সত্বেও উক্ত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কাজ-কর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা সূচিত কোন কার্যধারা এ আইনের অধীন বলে গণ্য হবে। এছাড়া কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকলে, তা এমনভাবে নিষ্পন্ন হবে যেন এ আইনের অধীন গৃহীত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত