সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০৫

কলেজ শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

সরকারের আশ্বাসে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং শিক্ষা সচিব এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেছেন তারা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন।

বুধবার সন্ধ্যায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি নাসরিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুরে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। তারা আমাদের দাবির বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর আমরা সাধারন সভা করে একমাসের জন্য কর্মসূচি স্থহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমরা এক মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছি।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন । ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা দাবি পূরন হওয়ার বিষয়টি দেখবো, যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে মার্চ থেকে আবার আন্দোলনে যাবো।

প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের কর্মবিরতি শুরু করেন ২৭০টি সরকারি কলেজ, তিনটি আলিয়া মাদ্রাসা, ১৪ টিটি কলেজ ও ১৬টি কমার্শিয়াল কলেজের ১৫ হাজার শিক্ষক।

এছাড়া আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি না মানলে ৬ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি দেন শিক্ষকরা।

অষ্টম বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল ছাড়াও শিক্ষকদের পদ ‘আপগ্রেডেশন’ এবং ‘বৈষম্য’ নিরসনে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষকরা। এছাড়া অধ্যাপকদের পদমর্যাদা ও বেতনক্রম অবনমনের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।

অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম থেকে সরাসরি তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকরা পদোন্নতি পেয়ে চতুর্থ গ্রেডে অধ্যাপক হয়ে আসছিলেন। চতুর্থ গ্রেডের অর্ধেক অধ্যাপক সিলেকশন গ্রেড পেয়ে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হতেন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বাতিলের ফলে অধ্যাপকদের চতুর্থ গ্রেড থেকেই অবসরে যেতে হবে। মর্যাদা ছাড়াও বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

এ যুক্তি দেখিয়ে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো ১ জুলাই থেকেই পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকদের পদোন্নতি দিয়ে অধ্যাপক হিসেবে তৃতীয় গ্রেডের বেতন দিতে সরকারি আদেশ জারির দাবি জানিয়ে আসছে বিসিএস শিক্ষা সমিতি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত