সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৯:৪৫

‘দেশে এনজিওর সংখ্যা কতো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না!’

সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান সরকারি নথিতেও নেই। এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সাবেক পরিচালক ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘দেশে এনজিওর সংখ্যা কতো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না!’ 

রোববার এনজিওবিষয়ক ব্যুরো ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘কার্যকর উন্নয়নের জন্য সরকারের মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এনজিওগুলোর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকার কারণ উল্লেখ করে বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের পাঁচটি সংস্থা আইনগত প্রতিষ্ঠান হলেও এর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে যুব অধিদফতর ও আনসার ভিডিপি সনদ দিচ্ছে। ফলে সঠিক হিসাব রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবে ২ হাজার ৪৯৮টি এনজিও থাকলেও এর বাইরে অনেক রয়েছে। এছাড়া সমাজ সেবা অধিদফতর, মহিলা অধিদফতর, জয়েন্ট স্টক, সমবায় অধিদফতর ও মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সনদ দিয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এনজিও সৃষ্টি ও তাদের কর্মতৎপরতার শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের পরপরই। তখন তাদের প্রধান কাজ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সার্বিক সহযোগিতা করা। এখন তারা প্রধান যেসব ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেগুলো হলো- দারিদ্র্য বিমোচন, পল্লী উন্নয়ন, লৈঙ্গিক সমতা, পরিবেশ প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানবাধিকার।

সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ১৯৯০ সালে গঠিত হয় এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যুরো মোট ২ হাজার ৪৮৪টি এনজিওকে নিবন্ধন দিয়েছে।

সমাজসেবা অধিদফতরের সর্বশেষ নথি থেকে দেখা যায়, দেশের ৬৪টি জেলায় অধিদফতরের অধীনে ৫৩ হাজার ২৩২টি এনজিও আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৭ হাজার ৬৮১টি। তবে, কার্যক্রম না থাকা এবং অন্য নানা অসঙ্গতির কারণে ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ২২৭টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

ব্র্যাক সেন্টারের ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ মূসা। ঢাকা বিভাগের ছয় জেলার ছয়জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ৩৪ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ছয়জন সহকারী কমিশনারকে নিয়ে এ কর্মশালা হয়। সভাপতি ছিলেন এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত