সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১১:৩৫

শাহজালাল বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ

ভিডিও শুটিং ও গোয়েন্দা নজরদারির কাজে ব্যবহার করা ১৪ কেজি ওজনের আমদানি নিষিদ্ধ একটি অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ করা হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আগত এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে এটি জব্দ করা হয়।
 
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাত ১০টায় এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সের জি-৯০৫১৫ ফ্লাইটে শারজাহ থেকে জাহিদুল ইসলাম (৪০) নামে যাত্রী শাহজালালে অবতরণ করেন।
 
কাস্টমস হলের বেল্ট হতে তার ব্যক্তিগত লাগেজ সংগ্রহের পর কোনরূপ ঘোষণা দেননি। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রী জাহিদুলের ব্যাগ নজরদারি করা হয়।
 
কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে তল্লাশি করে তার ব্যাগ থেকে এ ড্রোন যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
 
জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল জানিয়েছেন, দুবাই থেকে তার বন্ধু ঢাকায় এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন। তিনি নিজে এর মালিক নন।


এর আগে ২৭ জুলাই এয়ারফ্রেইট ইউনিট থেকে খেলনা ঘোষণায় আমদানি করা একটি ড্রোন জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার আটক করা ড্রোন আগেরটি থেকেও অনেক উন্নতমানের। 
 
যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বিটিআরটিসি’র কোনো অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি। এর কোনো অপব্যবহারের ঝুঁকি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 
নিজেকে জাহিদুল ইসলাম নামে পরিচয় দিলেও তার পাসপোর্ট অনুযায়ী নাম নজরুল ইসলাম দেখা যায়। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ভুরকাপাড়া গ্রামে।

ড. মইনুল খান আরও জানান, ড্রোন নানা ধরনের নাশকতার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, এ আশঙ্কায় সম্প্রতি বাংলাদেশে এর ওপর আমদানি নিয়ন্ত্রন আরোপ করা হয়।
 
সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া ড্রোন আমদানি করা যাবে না। উড্ডয়নের জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। জব্দ ড্রোনের ব্যাপারে শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জব্দ ড্রোনটি ঢাকা কাস্টমস হাউজে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

জব্দ অরা ড্রোনটি ডিজেআই ফ্যান্টম ৪ মডেলের। অত্যাধুনিক এ ড্রোনে উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর রয়েছে। এটি ভিডিও শুটিং ও গোয়েন্দা নজরদারি কাজে ব্যবহৃত হয়।
 
রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এটি পরিচালনা করা হয়। এর লিটারেচার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসব ড্রোন প্রায় ১ কেজি ওজনের ভার বহনে সক্ষম।
 
প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। আনুমানিক প্রায় ১৪ কেজি ওজনের এসব যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ড্রোন তৈরি করা যাবে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত