সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ মে, ২০১৭ ১৩:৫২

সাভারে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান: বিস্ফোরণের শব্দ

রাজধানীর সাভারে শুক্রবার রাত থেকে ঘিরে রাখা ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবার সকালে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার পরই অভিযান শুরু করে পুলিশ।

এদিকে অভিযান চলাকালীন দুটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ঘটনাস্থল থেকে। বেলা ১২ টা ও ১টার দিকে এ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।

অভিযান শুরুর আগে বাড়ির আশপাশের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে পুলিশের কাজে সহযোগিতার পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথাও বলছে পুলিশ।

এদিকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্ভিসের দুটি ইউনিট মোতায়েন রাখা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

ঢাকা জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে অংশ নিচ্ছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিট ছাড়াও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও গোয়েন্দা পুলিশ।

ক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মধ্যগ্যান্ডার নির্মাণাধীন ওই ছয়তলা বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। এর আ নামাগ্যান্ডা এলাকার একটি বাড়িতেও অভিযান চালায় পুলিশ।

মধ্যগ্যান্ডার নির্মাণাধীন ওই বাড়ির নিচতলার এক বাসিন্দা নারী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দোতলায় একটি ফ্ল্যাটে পাঁচ-ছয়জন তরুণ থাকতেন আর একটি ফ্ল্যাটে এক যুবক ও দুই নারী থাকতেন।

তিনি জানান, ওই পরিবারের ফ্ল্যাটে তিনি গত বৃহস্পতিবার গিয়ে বেশ কিছু বক্স কার্টুন দেখতে পেলে ওই বাড়ির নারীরা জানান তাঁরা চুড়ির ব্যবসা করেন। তখন চুড়ি দেখতে চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করে তাঁকে চলে যেতে বলেন ওই দুই নারী।

ওই ভাড়াটে জানান, বাড়ির মালিক সৌদি আরবপ্রবাসী। সিরাজুল নামের এক কেয়ারটেকারের কাছ থেকে ওই লোকজন বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে নামাগ্যান্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সিটিটিসি ও ঢাকা জেলা পুলিশ যৌথভাবে একটি পাঁচতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে।

সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটের একটিতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। আরেক ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন অপর এক ‘জঙ্গি’। অভিযানের আগে মনির পালিয়ে গেলেও তাঁর স্ত্রী রিমু আক্তার দুই শিশুপুত্র ও এক মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটেই ছিলেন। তাঁদের আপাতত বাড়ির মালিকের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম বলেন, নামাগ্যান্ডায় অভিযান শেষ করে মধ্যগ্যান্ডায় বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত