সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জুন, ২০১৭ ১৫:৪৯

আবগারি শুল্ক না বাড়ানোর দাবি সরকারদলীয় হুইপের

ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক না বাড়িয়ে আগের হার বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন সরকারদলীয় হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার।

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

শহীদুজ্জামান বলেন, ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামের মানুষ এক লাখ, দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। এখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে আমানতের টাকা কেটে নেওয়া হবে। তিনি অর্থমন্ত্রীকে আবগারি শুল্ক না বাড়িয়ে আগেরটা বহাল রাখার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া ভ্যাটের আওতা কমিয়ে আয়কর ও অন্যান্য প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর পরামর্শও দেন সরকার দলীয় এই হুইপ।

তিনি বলেন, এটি করা গেলে জনগণকে আরও স্বস্তি দেওয়া যেত। কর আদায়ের এই প্রক্রিয়াগুলো অর্থমন্ত্রী গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমানোরও আহ্বান জানিয়ে শহীদুজ্জামান বলেন, সঞ্চয়পত্র কেনার লক্ষ্য ছিল ১৯ হাজার কোটি টাকা। হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্রের হারের ওপর যাতে কাঁচি না চলে। একে আরও সহজ করার যদি প্রক্রিয়া থাকে সেটা অনুসরণ করতে হবে।

সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় সারা বছর ধরে রাজস্ব আদায় করতে এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানান শহীদুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার ১০ শতাংশ কমে আদায় হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়। তবে একটু হলেও প্রশ্ন আছে। প্রথম নয় মাসে আশানুরূপ রাজস্ব আদায় করা যায়নি। এ বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে। শুরু থেকে রাজস্ব আদায়ে এনবিআরকে জোর দিতে হবে। তা না হলে শেষ তিন মাসে অনেক অনিয়ম হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আবগারি শুল্কের পরিধি বৃদ্ধিজনিত প্রস্তাব করেন। এত দিন বছরের যে কোনো সময় ব্যাংক হিসাবে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকলে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হতো না। এখন ১ লাখ টাকার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।

ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত থাকলে আবগারি শুল্ক (এক্সাইজ ডিউটি) দিতে হবে ৮০০ টাকা, যা বর্তমানে রয়েছে ৫০০ টাকা। আর ১০ লাখের ওপর থেকে এক কোটি টাকায় বর্তমানে দেড় হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এখন তা বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা করা হয়েছে। এক কোটির ওপর থেকে পাঁচ কোটি রাখার ক্ষেত্রে বর্তমানে আবগারি শুল্ক দিতে হয় বছরে সাড়ে সাত হাজার টাকা। শুল্কহার বাড়ানোয় দিতে হবে ১২ হাজার টাকা। আর পাঁচ কোটি টাকার ওপরে থাকলে এক বছরে আবগারি শুল্ক ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। বছরে একবার এই হার কাটা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত