সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ আগস্ট, ২০১৭ ১২:০২

বায়োপসির জন্য টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে মুক্তামনির হাত থেকে

সফলভাবে মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত টিস্যু পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘মুক্তামনি এখন ভালো আছে। তাকে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বিকালে কেবিনে দেবো।’

এর আগে মুক্তামনিকে শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে সকাল ১০টার দিকে বায়োপসির জন্য টিস্যু সংগ্রহ করা হয়।

অপারেশনের পর বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, বায়োপসির জন্য মুক্তামনির হাত থেকে যে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সেটা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মুক্তামনির বায়োপসির রিপোর্ট আসার পর গঠিত মেডিকেল বোর্ড ৭ আগস্ট আবারো বসবে পরবর্তী করণীয় বিষয় নিয়ে। বিকেলে মুক্তামনিকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে মুক্তামনির অপারেশন যাতে সফল হয় সে জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মুক্তামনির মা আসমা খাতুন ও বাবা ইব্রাহিম হোসেন।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর মুক্তামনির হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে।

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তার আক্রান্ত ডান হাত এখন ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারী হয়ে উঠেছে। এতে পচনও ধরেছে। পোকাও জন্মেছে। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকে মুক্তামনি। আক্রান্ত স্থান থেকে বিকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এ রোগ তার দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। এসব কারণে তাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ও পড়শিদের যাতায়াতও এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্প্রতি মুক্তামনির এ বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ৬০৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত