সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ আগস্ট, ২০১৭ ১৪:২৮

আমরা আইন মোতাবেক বিচার করব, অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে বলেছেন, মোবাইল কোর্ট সংক্রান্ত মামলাটি যত দ্রুত শুনানি করবেন ততই সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমরা আইন মোতাবেক বিচার করব। আইন বহির্ভূত কিছু করা হবে না।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির প্রস্তুতির জন্য আবারও সময় চাইলে বুধবার এসব কথা বলেন তিনি।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ বসে। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম আট সপ্তাহের সময় আবেদন দাখিল করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আরও দুই সপ্তাহ সময় দেন রাষ্ট্রপক্ষকে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এখনও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, কেন আমরা তো আদেশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমার বাড়ি পদ্মার পাড়ে। আমি তো এখনও দেখি, কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।’

এর জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর না হলে আমাদের কী করার আছে। আমি শুনলাম, আপনি নির্বাচন করছেন তাইতো এলাকায় যান। আপনি তো প্রশাসনের সঙ্গে আপস করে চলছেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমরা তো ইলিশের গন্ধ পাই না। যত তাড়াতাড়ি এটা ( নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা) ঠিক করবেন, ততই সরকারের লাভ।

এরআগে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি আপনাকে একটা তালিকা দেবো। সিআরপিসি’র সঙ্গে এর কয়েকটি ধারা সাংঘর্ষিক। এগুলো ঠিক হওয়া উচিত। আমরা আইনের বাইরে বিচার করবো না। আইনের অধীনেই বিচার করবো।

অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার প্রস্তুতির জন্য সময় দরকার।’ পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ১০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন।

গত ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১১টি ধারা ও উপধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত