সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ১১:১১

শিক্ষামন্ত্রীর পিও সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন ও লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেক হাসান মতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ডিবি।

সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম মৃধা। মামলা নম্বর ৩৬। বনানী থানার পরিদর্শক তদন্ত বোরহান উদ্দিন মামলা দায়েরের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার রাত সাড়ে আটটায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ নাসিরউদ্দিনকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মোতালেবকে একই সময়ে বসিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিন রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানিয়েছিলেন, টাকাসহ গ্রেপ্তার নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকায় মোতালেবকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) সোমবার জানায়, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুল ঘুষের বিনিময়ে চালু করে দিতে চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর পিও মো. মোতালেব হোসেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন। এ জন্য তারা স্কুলটির মালিকের কাছ থেকে ঘুষও নিয়েছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মোতালেব হোসেন ও নাসিরউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খালেদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে। জঙ্গি সম্পৃক্ততায় বন্ধ হওয়া এই স্কুল চালু করে দেওয়ার নামে এই দুজন ঘুষ নিয়েছিলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও দৃশ্যমান ও শক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন তা আরও বাড়ছে। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষামন্ত্রীর পিও এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারীকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে নানা আলোচনা রয়েছে।

শুধু মন্ত্রণালয় নয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় কখনো শক্ত ব্যবস্থা নেয় না বলে সমালোচনা রয়েছে। কিছুদিন আগে ডিআইএর এক কর্মকর্তাকে ফাঁদ পেতে ঘুষসহ হাতেনাতে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই দপ্তরে আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামের দপ্তরের এমএলএসএস (পিয়ন) মোহাম্মদ আলীকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তিনি ছাড়া পান। এখন তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরেই কর্মরত। শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরের আরেক কর্মকর্তাকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক উঠলে এর আগে তাঁকে ঢাকায় আরেকটি প্রতিষ্ঠানে বদলি করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত