সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:৩৪

শহিদুলের পক্ষে বিবৃতি গণতন্ত্রের সৌন্দর্যের অংশ: হাছান

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির বিবৃতিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সৌন্দর্যেরই অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হয়ে তিনি যদি দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে কি তার বিচার হবে না? কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন এবং তার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, আওয়ামী লীগের নেতা বলরাম পোদ্দার, নজরুলসংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার প্রমুখ।

সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, তিনি একজন নামকরা আলোকচিত্রী। তার মুক্তির জন্য দেশ–বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সৌন্দর্যেরই অংশ।

তার দাবি, ‘শহিদুল আলম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জার্মান রেডিওতে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, “সেনাবাহিনীর কোনো প্রয়োজন নাই।” ঢাকা শহরে যখন হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল, তখন তিনি ছবি বিকৃত করে এখানে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে দেশে–বিদেশে প্রচার করেছেন। কোটা আন্দোলনের সময় তিনি বিদেশে বসে ভুল, মনগড়া ও বিকৃত তথ্য সরবরাহ করেছেন। সর্বশেষ নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার জন্য দেশের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি যেহেতু আলোকচিত্রী, এ জন্য ছবি বিকৃতির কৌশলটা ভালো জানেন। তাই ফেসবুকে ছবি বিকৃত করে নানা ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। সুতরাং কেউ যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হন, তিনি যদি দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে কি তার বিচার হবে না?’

তিনি বলেন, অবশ্যই কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন এবং তিনি মুক্তি পাবেন কি পাবেন না, সেটি আদালতের এখতিয়ার। তবে কেউ অপরাধ করলে তার অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত