সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৮ ১২:৩৪

কয়লা আত্মসাৎ: দুদকের মুখোমুখি আরো ৯ কর্মকর্তা

বড়পুকুরিয়ার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) নয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টা থেকে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান ও উপপরিচালক শামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন— বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মো. খলিলুর রহমান, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি ও গোপাল চন্দ্র সাহা, ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) মো. কামরুল হাসান, উপ ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিন।

এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পঞ্চম দফায় প্রাক্তন পাঁচ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা ঘাটতির অভিযোগে বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য প্রাক্তন এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।

মামলায় ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চিঠি দেয় দুদক।

এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুত দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খতিয়ে দেখতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল দুদক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত