সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ আগস্ট, ২০১৮ ২৩:০৯

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১০ সুপারিশ

এবার কোরবানির ঈদযাত্রায় ২৩৭টি দুর্ঘটনায় ২৫৯ নিহত ও ৯৬০ জন আহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ১৬-২৮ আগস্ট ১৩ দিনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সমিতির মনিটরিং সেলের এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

এ সময় সড়ক মহাসড়কে পরিবহন দুর্ঘটনা রোধ ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে ১০ দফা সুপারিশ করে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।

গত ৪ বছর ধরে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ৭টি বিষয় পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার আলোকে এ সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ

১. ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রীবহন করা

২. বিরতিহীনভাবে যানবাহন চালানো

৩. অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালক-হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো

৪. নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল

৫. বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো

৬. সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা

৭. সড়ক-মহাসড়কে বেহাল দশা দুর্ঘটনার কারণ।

সড়কে দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীকল্যাণ সমিতির সুপারিশ

১. সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে রোড সেফটি ইউনিট গঠন করে নিয়মিত দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ

২. প্রশিক্ষিত চালক গড়ে তোলার জন্য সরকারি খরচে ‘চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ চালু

৩. নিয়মিত রাস্তার রোড সেফটি অডিট করা

৪. ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা

৫. ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা

৬. মহাসড়কে ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা

৭. মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন

৮. ভাঙা রাস্তার সংস্কার করা

৯. ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ এবং

১০ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুটপাত, আন্ডারপাস, ওভারপাস তৈরি করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সেফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খান ও এফবিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আব্দুল হক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত