সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ২০:৩৪

‘বাকস্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগে সভা বর্জন

নির্বাচন কমিশনের সভায় ‘বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা’ না থাকায় সভা বর্জন করেছেন বলে ‘নোট অব ডিসেন্টে’ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এনিয়ে ইসির সভা দুইবার বর্জন করলেন এই নির্বাচন কমিশনার।

সোমবার সকালে শুরু হওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে তা বর্জন করেন মাহবুব তালুকদার।

‘নোট অব ডিসেন্টে’ মাহবুব তালুকদার লিখেন, ‘বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানপ্রদত্ত আমার মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এরূপ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ কমিশনের সভা বর্জন করছি।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কমিশন অংশীজনের সঙ্গে অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। এতে ৪০টি দল অংশ নেয়। এসব দলের প্রস্তাব ও সুপারিশ নিয়ে এখন পর্যন্ত কমিশনের বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। এ কারণে তিনি তা পর্যালোচনা করে কমিশনের সভায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানান।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তিনি যেন কমিশন সভায় প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করতে না পারেন, সে জন্য অপর তিনজন নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অনুরোধ জানান। সিইসি ওই তিনজন কমিশনারের সঙ্গে একমত পোষণ করে বক্তব্য উপস্থাপন করতে দেননি। এই সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছেন বলে ‘নোট অব ডিসেন্টে’ উল্লেখ করেন।

নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, মাহবুব তালুকদার তার বক্তব্য নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সরকারের জন্য নির্বাচন নিয়ে সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। আপত্তির কথা জানিয়ে আজকের বৈঠকে যোগ দিয়েই বেরিয়ে যান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আজ বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর বৈঠকে যোগ দেননি। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও অন্য কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের সভা হয়। ওই সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে আপত্তি দিয়ে সভা ত্যাগ করেন মাহবুব তালুকদার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত