সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:০৬

মাহবুব তালুকদারের নাম দিয়েছিল বিএনপি: তোফায়েল

নির্বাচন কমিশন গঠনের সময়ে কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নাম বিএনপি প্রস্তাব করেছিল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করে। তাতে মতবিরোধ হতেই পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই চূড়ান্ত। সরকার সেটি মেনে নেবে। আর সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই ইসি গঠিত হয়েছে। এটি গঠনের সময় বিএনপিও নাম দিয়েছিল। মাহবুব তালুকদারের নাম দিয়েছিল বিএনপি। সেটি বড় বিষয় নয়। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনাররা সবাই দক্ষ ও নিরপেক্ষ।’

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বিষয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক বয়কট করেছেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। একইসঙ্গে তিনি আরপিও সংশোধনের এই সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন।

এপ্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার সরকারের নয়, ইসির সিদ্ধান্ত। পৃথিবীর এমন একটি দেশের নাম বলুন যেখানে নির্বাচন হওয়ার পর বিতর্ক ওঠেনি? এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন গঠনের দিন থেকেই তার বিরোধিতা করছে। তারা যেকোনও ভালো কাজেরই বিরোধিতা করে, সমালোচনা করে।’

তোফায়েল বলেন, ‘নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। তবে কেউ যদি আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, সরকার তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে ছাড় দেবে না, সরকার বসে থাকবে না। ২০১৩, ‘১৪ ও ‘১৫ সালে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ হত্যা করা, পোলিং বুথ পুড়িয়ে দেওয়াসহ যা যা অরাজকতা হয়েছে সেই সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না। কেউ যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। ২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপি আসেনি, এরপরও নির্বাচন হয়েছে, পুরো বিশ্বের স্বীকৃতিও পেয়েছে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশের সন্তান ও ‘১৪ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ ও সিপিইউ’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।’

নতুন রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি জোট গঠন যে কেউ করতে পারে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নাই। ড. কামাল হোসেন জীবনে কোনও নির্বাচনে ভোটে জয়ী হননি। যেবার জিতেছিলেন সেটি বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে দুইবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি দুইবারই পরাজিত হয়েছেন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত