নিউজ ডেস্ক

২০ জানুয়ারি, ২০১৫ ২১:৩৩

হিন্দু নারীর বিবাহ-বিচ্ছেদ কেন নয়: রুল হাইকোর্ট

যৌতুকের জন্য স্বামীর হাতে নির্যাতিত এক হিন্দু নারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) কেন তার ইচ্ছা অনুসারে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
 
পাশাপাশি ওই নারীর জীবন-যাপন ও চলাফেরায় তার স্বামী বা অন্যদের বাধা না দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। 
 
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
 
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, আইন কমিশনসহ রিটের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
গত ১৮ জানুয়ারি নির্যাতিতা ওই নারীর পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সম্পাদক আইনজীবী এলিনা খান।
 
তিনি সাংবাদিকদের জানান, যৌতুকের কারণে ঢাকাস্থ  এক নারীকে তার স্বামী প্রতিনিয়ত নির্যাতন করছে। ওই নারীটি তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চাইলেও হিন্দু আইনে এমন বিধান না থাকায় তা করা যাচ্ছে না। এটা সংবিধান পরিপন্থি। এ বিষয়ে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।   

উল্লেখ্য হিন্দুমতে বিবাহের পরে যদি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মতের মিল না হয় বা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে তাঁরা জুডিশিয়াল সেপারেশনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন। আদালত ওঁদের এই আবেদন যথোপযুক্ত ও যুক্তিসংগত মনে করলে, বিবাহ-বিচ্ছেদ না করেও আদালতের মাধ্যমে দুপক্ষের আলাদা হয়ে থাকার বিধান আছে। অনেক সময়ে দেখা যায় যে, দু-পক্ষ আলাদা থাকার ফলে নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো বুঝতে পেরে আবার একসাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, এক বছর আলাদা থাকা সত্বেও স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্য কমছে না ও তার মীমাংসার কোনও সম্ভাবনা নেই, সে ক্ষেত্রে যে-কোনও পক্ষ আদালতের কাছে বিবাহ-বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) জন্য আবেদন করতে পারেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত