সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুন, ২০১৯ ২১:৩৯

রিজেন্টের ফ্লাইটে গেলো বিমানের সেই পাইলটের পাসপোর্ট

পাসপোর্ট সঙ্গে না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে আটক করেছে কাতার ইমিগ্রেশন। তাই তার পাসপোর্ট রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে কাতার পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, পাসপোর্ট পাঠাতে বিমানের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

অনুমোদন থাকায় পাসপোর্ট বহনে সম্মত হয়েছে রিজেন্ট এয়ারলাইন্স। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দিবাগত রাতেই কাতারে তার পাসপোর্ট পৌঁছাবে বলেও তাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের ডিজিএম (এয়ারপোর্ট সার্ভিস) কে এম আখতারুজ্জামান বিষয়টির সত্যতাও নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দোহাগামী তাদের শিডিউল ফ্লাইটে পাসপোর্টটি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, কাতার ইমিগ্রেশনে আটক পাইলট ফজল মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ফ্লাইট চালাবেন কি না, এ বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের পাইলটকে বিশ্রামের জন্য একদিন আগেই গন্তব্যে উপস্থিত থাকতে হবে। সে অনুসারে কালকে যদি কোনো পাইলটকে পাঠানো হয়, তবে তার কোনো বিশ্রাম থাকবে না। কাজেই কাতার ইমিগ্রেশনে আটক ফজল মাহমুদই প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট চালাতে পারেন। তবে পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কেন যাচ্ছিলেন, তা নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে।

জানা গেছে, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিশেষ এই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে সেদেশের ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়।

পাসপোর্ট ছাড়া কারো দেশত্যাগ কিংবা অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে।

পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল) আশরাফ হোসেন।

তিনি জানান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন জামিল আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি পাসপোর্ট উদ্ধার করেন এবং এই পাসপোর্ট কাতারে পাঠানোর উদ্যোগ নেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত