সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:০৪

মিন্নির জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ

বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিনের বিরোধিতা করে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

বৃস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মিন্নিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সে নারী এবং তার বাবার জিম্মায় থাকবেন, তাই তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে এ জামিনের সে অপব্যবহার করবেন না এবং মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। কিন্তু সে জামিনের শর্ত অপব্যবহার করে তাহলে বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারবেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, মিন্নির বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ ছিল। সে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল সেখানে নিজেকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির ১৩ বার ফোনালাপও হয়েছে। যাই হোক, আদালত তবুও তাকে জামিন দিয়েছেন। আমরা হাই কোর্টের আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এর আগে দুই শর্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মিন্নিকে জামিন দেন।

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ২০ দিনের মাথায় গত ১৬ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নিকে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রিফাত হত্যকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে মিন্নির সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ওইদিনই মিন্নিকে আলোচিত এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মিন্নি রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মিন্নি কারাগারে ছিলেন। তার জামিনের জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও জামিন মেলেনি। অবশেষে ১ মাস ১৩ দিন পর হাই কোর্টের আদেশে মিন্নির জামিন মেলে।

আদালতে এদিন মিন্নির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পি।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হলে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলে।

ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হলেও, পরে এক আসামির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত