সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ১৫:২৫

সাক্ষ্য দিতে আদালতে অভিজিতের বাবা

অভিজিৎ রায়

সন্তান হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন ব্লগার, বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়।

সোমবার দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান অজয় রায়। কিন্তু এ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় ঢাকার চতুর্থ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের জজ জেসমিন আরা বেগমের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আদালতের পুলিশ সদস্যরা অজয় রায়ের চেয়ার বহন করে সেখানে নিয়ে যান।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান জাকির জানান, সেখানেই অভিজিতের বাবার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী লেখক অভিজিৎ রায় একুশের বইমেলা থেকে বেরিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর তার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজয় রায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর গত ১৩ মার্চ ছয় জঙ্গিকে আসামি করে বহুল আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। সেখানে মোট ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত গত ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়। সে অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও অজয় রায়ের অনুপস্থিতির কারণে সেটা হয়নি। পুত্রহত্যার শোক সহ্য করতে না পেরে তিনি আদালতে কয়েকটি তারিখে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত আইনজীবীদের বোঝানোর পর তিনি সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হয়েছেন।

এই মামলার ছয় আসামি হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস), আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী।

এদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম ছাড়া বাকি চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। পলাতক জিয়া ও আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। সেনাবাহিনীর বরখাস্ত মেজর জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত