ইতালি থেকে আসা প্রবাসীরা কোয়ারেন্টাইনে না থাকতে চেয়ে আশকোনা হজ ক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। একই সঙ্গে এ সকল প্রবাসীদের হজ ক্যাম্পের মূল ফটকের বাইরে স্বজনেরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এদিকে তাদের শান্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শনিবার (১৪ মার্চ) বেলা দুইটা থেকে ইতালিফেরত বাংলাদেশি ও তাঁদের অভিভাবকেরা এই বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে হজ ক্যাম্প থেকে ইতালিফেরতরা বেরিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে বেধে যায় হট্টগোল।

জানা যায়, মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত দেশ ইতালির রোম থেকে দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে- ৫৮২ নম্বর ফ্লাইটে শনিবার সকালে ঢাকায় আসেন ১৪২ জন বাংলাদেশি। পরে তাদেরকে হজ ক্যাম্পে নেয়া হয়। দুপুরের দিকে ইতালিফেরতরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন।

ইতালিফেরত এক ব্যক্তি গেটে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের রোমে পরীক্ষা করা হয়েছে, দুবাইয়ে আরেক দফায় পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে করোনাভাইরাসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে আসার পর এখন এখানে রাখা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, হজ ক্যাম্পে আনার পর তাদের কর্তৃপক্ষ কিছুই বলছে না। শুধু পানি ছাড়া তারা কোনো খাবার পাচ্ছেন না। এখানে তারা অমানবিক অবস্থার মধ্যে আছেন। শিশুরা আছে। এ সময় তারা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চান বলে দাবি তোলেন।

তবে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, হজ ক্যাম্পে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কারও শরীরেই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে কারো দেহে এ ভাইরাস ধরা না পড়লেও তাদের দুই সপ্তাহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ইতালিফেরত বাংলাদেশিদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো ঝুঁকি দেখা না গেলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।