গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি

২৩ এপ্রিল, ২০২০ ২১:০৪

প্রবাসীদের সুরক্ষায় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

করোনা ভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য করণীয় বিষয়ে ৪র্থ জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি'র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, করোনা ভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ হতে কর্মীদেরকে ফেরত আনার অনুরোধ আসছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশ সমূহের সাথে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক অথবা বহুপাক্ষিক আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে,কলম্বো প্রসেস ও আবুধাবি ডায়ালগ ফোরামের সদস্য দেশসমূহের সাথে শীঘ্রই একটি বৈঠক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বিদেশ ফেরত প্রবাসী কর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টিন ক্যাপাসিটি আরও বাড়াতে হবে। যেসব প্রবাসী কর্মী হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে আসছে, তাদেরকেও নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ইমরান আহমদ এমপি বলেন, সভায় বিদেশ ফেরত প্রবাসী কর্মীরা যেন দেশে চলমান ত্রাণ সহায়তা পায় সে বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে একটি নির্দেশনা জারি করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামগ্রিক সুরক্ষায় সরকারের সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে আরও ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি বিদেশে অবস্থানরত বিত্তবান ও সামর্থ্যবান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসারও আহবান জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে করোনায় আক্রান্তদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

সভায় মন্ত্রী বিদেশে ফেরত কর্মীদের জন্য সুষ্ঠুভাবে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বিদেশ প্রত্যাগতদের জন্য প্রয়োজনীয় ফিল্ড হসপিটাল করার জন্য সেনাবাহিনীকে আহবান জানান। এছাড়াও তিনি বলেন, সেনাবাহিনী যদি দেশের চলমান খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনায় কৃষককে পরিবহন সুবিধা দেন, তাহলে কৃষকও ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং দেশেও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভার যে সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা হয়েছিল সেগুলোর বাস্তবায়নের হার অত্যন্ত সন্তোষজনক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরসমূহের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ সকল কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পাদন করে আসছে।

সভায় প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ২০ হাজার প্রবাস ফেরত কর্মীর কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

এছাড়া তিনি করোনা পরিস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিভিল প্রশাসনকে সবসময় সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত