নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ জানুয়ারি, ২০১৬ ০২:৩০

নির্বাচনে হেরে গেলেও আশা হারাচ্ছেন না দুই তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী

সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুই 'তৃতীয় লিঙ্গের' দুই প্রার্থী সুমি খাতুন এবং দিথি বেগম আলোচনায় ছিলেন আগে থেকেই। নির্বাচনে তারা দুজনই পরাজিত হয়েছেন, তবে পরাজিত হলেও ভেঙে পড়েন নি তারা। নির্বাচনের ফলাফলে আশা হারাচ্ছেন না মোটেও।

সুমি খাতুনের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার হাসপাতাল পাড়ায়। সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে বাঘারপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) প্রার্থী হয়েছিলেন, কিন্তু জিততে পারেননি।

সুমির প্রতিদ্বন্দ্বী তাছলিমা খাতুন ১্‌১৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, আর সুমি পেয়েছেন ৪৯৭। তবে পরাজিত হলেও আশা হারাননি সুমি। হয়তো আগামীবার তাকে নির্বাচিত করতে পারে ভোটাররা এ আশাই করছেন তিনি।

অপরদিকে, সাতক্ষিরার কলারোয়া পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর সংরক্ষিত) প্রার্থী ছিলেন দিথি বেগম। তিনিও নির্বাচনে জিততে পারেন নি। তবে খুব কম ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

দিথি বেগম পেয়েছেন ১,৫১২ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুন নেছা পেয়েছেন ১,৬৫৩ ভোট। মাত্র ১৪১ ভোটের ব্যবধানে ফলাফল নির্ধারিত হয়।

পরাজিত হওয়ার পর তিনি বলেছেন, জয়-পরাজয় থাকবে। তাই বলে তো থেমে গেলে হবে না। কথায় আছে না, পরাজয়ে ডরে না বীর। অধিকার আদায়ের লড়াই আমি চালিয়ে যাব।

নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিলেও দিথি বেগম সমাজের মধ্যে পোক্ত হয়ে থাকা রক্ষণশীলতাকে দায়ি করে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এলাকায় তার গণজোয়ার দেখে রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে তারা কোথাও কোথাও প্রভাব খাটিয়ে অপপ্রচার চালায়। এতে করে নির্বাচনের ঠিক আগের মুহূর্তে সাধারণ ভোটাররা পড়ে যায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশে হিজড়াদের ভোটাধিকার দেবার পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মত এই দুজন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত