নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জুন, ২০১৭ ১৩:০১

ফের সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে চান মুহিত

ফের সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

৮৪ বছর বয়স্ক মুহিত এই সংসদের পর অবসর নিতে পারেন বলে জল্পনা-কল্পনা চললেও শুক্রবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী পুনরায় সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।

সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ মুহিত শুক্রবার সকালে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে চা শ্রমিকদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আগামী নির্বাচনে নিে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ‘শতভাগ আশাবাদী’ বলে জানান। এসময় তিনি আগামী নির্বাচনে নিজের জন্য ভোটও প্রার্থনা করেন।

যদিও বয়সের কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে মুহিত আর প্রার্থী নাও হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরআগে অর্থমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার এই সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সিলেট-১ আসনে আগামীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর অনুজ, জাতিসংঘের সাবে স্থায়ী প্রতিনিধি একে আব্দুল মোমেনের নাম আলোচিত হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে সিলেটের রাজনীতি ও বিভিন্ন সরকারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও আব্দুল মোমেন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

এছাড়া সম্প্রতি সিলেটে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজও সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতি ওই সভায় মিসবাহ সিরাজ বলেন, অর্থমন্ত্রীর বয়স হয়েছে। তিনি হয়তো আগামী নির্বাচনে আর প্রার্থী হবেন না। তাই দল চাইলে আমি সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে চাই।

এ অবস্থায় শুক্রবার মুহিতের পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় এই আলোচনায় নতুন মোড় নিয়েছে।

শুক্রবারের অনুষ্ঠানে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ‘চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী’র আওতায় সিলেটে সদরের ১২টি চা বাগানের ১৭৯০ জন চা শ্রমিককে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। সহায়তা প্রদানকালে অর্থমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে তার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাইজার মো. ফারাবি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।

এর আগে সিলেটে প্রস্তাবিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য ভূমি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি জানান, সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল জায়গা। জায়গার সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় এ বছরই প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত