সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৭ ১৫:২২

ইসির সঙ্গে বৈঠকে ‘না’ ভোটের প্রস্তাব সুশীল সমাজের

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন আয়োজন, না-ভোট রাখা, মাঠ পর্যায়ে সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা রাখাসহ প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের উৎস খতিয়ে দেখার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনের রোডম্যাপ, আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়ে মতামত নিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় ইসি। এসময় সুশীল সমাজের সদস্যরা এসব প্রস্তাবনা দেন।

বৈঠকে ধর্ম ব্যবহার করে যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো না হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান সুশীল সমাজের সদস্যরা। পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার আগেই সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনে ইসির কার্যকরী ভূমিকা রাখা উচিৎ বলে মত দিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুশীল সমাজের ৫৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অনেকেই অংশ নেন নি। ২৫ জনের পরিচিতি পর্ব দিয়ে এ সভার শুরু হয়। পরে আরও অন্তত পাঁচজন সভায় যোগ দেন।

আলোচনার শুরুতে সিইসি কে এম নূরুল হুদা স্বাগত বক্তব্য দেন। চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। এর সঞ্চালনা করেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, আইনজীবীসহ বিভিন্ন মহলে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এদিকে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ছবি তোলার অনুমতি দেয়া হলেও মত বিনিময় সভায় কাউকে থাকতে দেয়া হয়নি। যদিও বিগত দুই কমিশনের আমলে এ ধরনের সংলাপে সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে রোডম্যাপের সাতটি বিষয় ছাড়াও প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সংলাপ করবে ইসি।

সংলাপে উপস্থিত হয়েছেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক সচিব এ এইচ এম কাশেম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, ঢাবি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বেসরকারি সংস্থার সাইফুল হক, সঞ্জীব দ্রং, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ গোলাম হোসেন, সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, ফিলীপ গায়েন, ব্রতীর নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক সচিব রকিব উদ্দিন মণ্ডল, লেক ও কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমদ, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, কবি লুবানা হাসান, নিজেরা করির খুশী কবির, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক অজয় রায় ও সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো দ্রেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

পরে যোগ দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী ও হোসেন জিল্লুর রহমান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত