সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ২২:০৩

তদন্তে প্রমাণ হলে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা: মতিন খসরু

তদন্তে প্রমাণ হলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু।

শনিবার দুপুরে কুমিল্লা বুড়িচংয়ের ছয়গ্রামে ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মতিন খসরু বলেন, দালিলিক প্রমাণসহ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তে এগুলো প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু বলেন, প্রধান বিচারপতি নিজ স্বাক্ষরিত চিঠিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে অসুস্থতার কারণে ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন। আবার তিনিই মৌখিকভাবে বলছেন, আমি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। আমরা কোন কথায় বিশ্বাস করব? লিখিত না মৌখিক?

‘তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। আবার কিছু মানুষের সামনে বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন নেই। তিনি নিজেই নিজের কথায় ঠিক থাকতে পারেন না।’-যোগ করেন সাবেক এ আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা চাই তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আবার দায়িত্ব পালন করুন।

গত জুলাই মাসে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দেওয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারকরা।

এসব অভিযোগের গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বিচারপতি দিতে পারেননি বলে তার সহকর্মীদের উদ্ধৃত করে সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গত ৩ অক্টোবর ‘অসুস্থতার’ কারণে তার ছুটিতে যাওয়ার খবর আইনমন্ত্রী প্রকাশ করলে তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

ছুটি নিয়ে শুক্রবার বিদেশ যাওয়ার আগে বিচারপতি সিনহা বলেন, তিনি অসুস্থ নন। তবে সরকারের আচরণে বিব্রত হয়ে ছুটি নিয়েছেন। তাঁর এ বক্তব্যের পরের দিনই সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিবৃতি আসে।

প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের জবাব নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, প্রধান বিচারপতিকে জোর করে ছুটি দিয়ে বিদেশ যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

বিচারপতি সিনহার চাকরির মেয়াদ রয়েছে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত