সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৯ জুন, ২০১৮ ০০:৩৯

সমাজের হৃদয়বানরাই বাঁচাতে পারেন অনিন্দিতাকে

অনিন্দিতা চক্রবর্তী, বয়স ৪০। পেশায় গৃহিণী। স্বামী বিবেকানন্দ চক্রবর্তী ডাক বিভাগ ঢাকাতে চাকুরীরত অবস্থায় আছেন। দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়েটির বয়স ১১ বছর। সে ক্লাস সিক্সে পড়ে। আর ছোট ছেলের বয়স ৬। সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছে।

স্বামী স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যাচ্ছিল। কিন্তু, বছর দুই আগে সাজানো গোছানো সংসারে হঠাৎ নেমে আসে কালো মেঘ।

হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনিন্দিতা। তখন থেকেই গত দেড় বছর দেশে বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ডাক্তার দেখালেও কেউই কোন রোগ ধরতে পারেননি।

পরে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে পাড়ি জমান ভারতের চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে অনিন্দিতার রোগ। ডাক্তাররা জানান তিনি কিডনি রোগে ভুগছেন।

তখন থেকেই সেখানে শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা। কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পরে তাকে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। দেশে এনে ফের দেয়া হয় কিডনি চিকিৎসা। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্বিতীয় দফায় নেয়া হয় চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালে।

সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পরবর্তীতে ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ আবারো দেশে ফিরিয়ে আনেন তাকে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এ ব্যাপারে বিবেকানন্দ বলেন, আমার দুই সন্তান ও আমি বিশ্বাস করি সে আমাদের মাঝে ফিরবে, অন্তত আরো কয়েকটা দিন আমার সন্তানগুলো তাদের মায়ের স্নেহ পাবে।

কিন্তু বিগত দুই বছরে দেশেবিদেশে ব্যয়বহুল চিকিৎসার ভার বহন করতে করতে আমার প্রায় সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে আমার চাকরি ও পারিবারই আমার শেষ সম্বল, এরাই আমার ভবিষ্যৎ। সৃষ্টিকর্তার কৃপায়, ডাক্তারদের আশ্বাস ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা সবাই আশার আলো দেখছি, কিন্তু আর্থিক সংকট আমার মন ভেঙ্গে দিচ্ছে, আমার সন্তানদের দিকে আমি অসহায় বাবা তাকাতে পারছি না।

তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তার কৃপায়, ডাক্তারদের আশ্বাস ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা সবাই আশার আলো দেখছি, কিন্তু আর্থিক সংকট আমার মন ভেঙ্গে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গত ৮ দিনে লাইফ সাপোর্টে ও ঔষধ বাবদ ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে ২ লক্ষাধিক টাকার উপরে। এখন প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার প্রয়োজন, যা আমার ও আমার আত্মীয়স্বজনদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।

এদিকে অবুঝ দুইটি শিশু মার বিছানার পাশে বসে অঝোরে চোখের পানি ঝরাচ্ছে। তাই স্বামী ও বাবা হিসেবে তিনি দেশের হৃদয়বান মানুষের দ্বারস্থ হয়েছেন।

তিনি বিশ্বাস করেন একমাত্র হৃদয়বানরাই পারেন ফুট ফুটে এ দুইটি শিশুর চোখের অশ্রু মুছাতে, তাদের মুখে হাসি ফুটাতে।

আসুন প্রত্যেকের অবস্থান থেকে আমরা অনিন্দিতার চিকিৎসার জন্য অসহায় এ পরিবারের পাশে দাঁড়াই।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: বিবেকানন্দ চক্রবর্তী,  মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান শাখা, ঢাকা ১১০১১২১১০২২৬৯৮৩। মোবাইল: ০১৯১১১০৮০৩১ (পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত