ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে জুভেন্টাস ম্যাচ জিতল ঠিক কিন্তু কিন্তু সেটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের পর্বে ওঠতে যথেষ্ট ছিল না। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শুরুতে গোল খেয়ে বসা জুভেন্টাসের জন্যে সেটাই কাল হলো। অ্যাওয়ে গোলে তাদের পেছনে ফেলে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল অলিম্পিক লিওঁ।

শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে জুভেন্টাস। প্রথম লেগে লিওঁ ১-০ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। পার্থক্য গড়ে দেয় এই ম্যাচের শুরুতে মেমফিস ডিপাইয়ের পেনাল্টি গোল।

১২তম মিনিট বাদে বিতর্কিত গোলে এগিয়ে যায় লিওঁ। ডি-বক্সে ঢুকে পড়া আউয়ারকে স্লাইড ট্যাকল করেন রদ্রিগো বেন্তানকুর। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার ট্যাকলই মনে হয়েছে, বলে পা লাগিয়েছিলেনও তিনি। তবে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, ভিএআরেও সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে বল জালে পাঠান ডাচ ফরোয়ার্ড ডিপাই।

৪৩ মিনিটে রোনালদোর সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। মিরালেম পিয়ানিচের ফ্রি-কিকে বল ডিপাইয়ের বুকের সঙ্গে লেগে থাকা হাতে লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জুভেন্টাসের পারফরম্যান্স ছিল বড্ড সাদামাটা। এরই মাঝে রোনালদোর একক নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে এক-পা দু-পা এগিয়ে আচমকা জোরালো শট নেন তিনি। বল ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালে জড়ায়।

আসরে রোনালদোর এটি চতুর্থ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তার মোট গোল হলো রেকর্ড ১৩০টি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে তার গোল হলো ৩৭টি।

বাকি সময়ে জুভেন্টাস কয়েকটি আক্রমণ করলেও ছিল না চেনা ধার। সুযোগও মিলেছিল; কিন্তু রোনালদো ও হিগুয়াইনের লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে গোলের সমীকরণ মেলাতে পারেনি জুভেন্টাস। তাই জিতেও ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়ার হতাশায় মাঠ ছাড়ে মাওরিসিও সাররির দল।

একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলে তারা এগিয়ে গেছে ৪-২ ব্যবধানে।

আগামী শনিবার লিসবনে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে সিটি ও লিওঁ।