বার্সেলোনা ক্লাবের অনুশীলন শুরু হবে সোমবার থেকে। তার আগে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা। কিন্তু সেখানে মেসি যাননি। তবে টেস্ট করাতে গেছেন আর্তুরো ভিদাল, লুইস সুয়ারেজ, জেরার্ড পিকে প্রমুখ।

কাহিনী এতটুকুই নয়। করোনা পরীক্ষার জন্যে না যাওয়ার কারণ অবশ্য বিশ্ববাসী জেনে গেছে। কারণ লিওনেল মেসি আর বার্সেলোনা ক্লাবে থাকতে চাইছেন না।

অনুশীলন শুরু করার জন্য আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া দুইটায় (বার্সেলোনায় সকাল সোয়া দশটা) করোনাভাইরাসের পিসিআর টেস্ট নেওয়ার কথা ছিল মেসির। আগেই জানিয়েছিলেন, এই টেস্ট করার কোনো ইচ্ছেই নেই তার, কেননা তিনি ক্লাব ছাড়তে চাচ্ছেন। আজ সেটি আরেকটু নিশ্চিত হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত এলেন-ই না তিনি।

অবশ্য মেসি যে আসবেন না, সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম আরএসিওয়ানের তথ্য অনুযায়ী, বুরোফ্যাক্সের মাধ্যমেই মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, তার চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি চাইলেই ২০১৯-২০ মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়তে পারবেন, এবং সেটাই করছেন। ফলে এখন তিনি নিজেকে আর বার্সেলোনার খেলোয়াড় বলে মনে করেন না। যেহেতু নিজেকে আর ক্লাবের খেলোয়াড়ই মনে করেন না, তাই পিসিআর টেস্ট বা ক্লাবের অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া নিরর্থক। বরং আজ যদি মেসি পিসিআর টেস্ট করাতে আসতেন, তাহলেই বরং তার নিজের অবস্থান দুর্বল হয়ে যেত। সেটা করেননি মেসি।

একজনের শরীরে অনাহূত কোনো ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না, সেটা জানার জন্যই পিসিআর টেস্ট করা হয়। কারওর শরীরে করোনার উপস্থিতি থাকলে এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়। আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু করবে বার্সেলোনা। তার আগে আজ খেলোয়াড়দের পিসিআর টেস্ট করানোর কথা।

ওদিকে সাংবাদিক মার্সেলো বেকলার জানিয়েছেন, মেসি মনে করেন তিনি এখন আর বার্সার খেলোয়াড় নন। এদিকে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কাদেনা সের’ ও ‘এল লারগুয়েরো’ জানিয়েছে, মেসির চুক্তিতে ৭০ কোটি রিলিজ ক্লজের ধারাটা আছে ঠিকই, কিন্তু সেটা চুক্তির শেষ বছরের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেটার মেয়াদ ২০১৯-২০ মৌসুমের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রখ্যাত স্প্যানিশ সাংবাদিক গিলেম বালেগও। বালেগ লিখেছেন, ‘কাহিনিতে আরেক চমকপ্রদ মোড়! এল লারগুয়েরো যা জানিয়েছে, তা সত্যি। মেসির চলমান চুক্তির শেষ বছরে (২০২০-২১ মৌসুম) ৭০ কোটি ইউরোর কোনো রিলিজ ক্লজ নেই। তার মেয়াদ ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে।’