নিউজ ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০৮:২৩

আবারো দুর্দান্ত নেইমার-সুয়ারেজ জুটি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাতে বরিসভকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে লুইস এনরিকের দল।

নেইমার আর লুইস সুয়ারেসের পায়ের জাদুতে সাফল্য ধরে রাখলো বার্সেলোনা। দলের জয়ে আবারও গোল পেয়েছেন এই দুই তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাতে বরিসভকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে লুইস এনরিকের দল।

দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসির অনুপস্থিতিতে গত কয়েকটি ম্যাচের মতোই বুধবার রাতে দুর্দান্তভাবে জ্বলে উঠে নেইমার-সুয়ারেস জুটি। পেনাল্টি থেকে প্রথমার্ধে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সুয়ারেসের গোলে অবদান রাখেন নেইমার। সুয়ারেসও পরে সহায়তা করেন নেইমারের দ্বিতীয় গোলে।

বুধবার রাতে কাম্প নউতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। নেইমার বল বাড়িয়েছিলেন ডি-বক্সে; অনেকটা ফাঁকায় থাকা সুয়ারেস বুক দিয়ে বল নামালেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি।

সপ্তম মিনিটে নেইমারকে ফাউল করা হলে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় বার্সেলোনা। নেইমার নিজেই ফ্রি-কিকটা নেন; কিন্তু বল চলে যায় বার উঁচিয়ে।

পঞ্চদশ মিনিটে নেইমারের পা থেকে বল বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক সের্গেই চেরনিক। দুই মিনিট পর ফ্রি-কিক থেকে জোরাল একটি শট ঠেকিয়ে বার্সেলোনাকে রক্ষা করেন টের স্টেগেন।

ম্যাচের ২০তম মিনিটেই পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বেলারুশের চ্যাম্পিয়ন বরিসভের মাঠে বার্সেলোনার ২-০ ব্যবধানে জয়ের দুটি গোলই করা ইভান রাকিতিচ।

২৩তম মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পাস থেকে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেইমারের শট ঠেকাতে তেমন সমস্যা হয়নি চেরনিকের। তবে ম্যাচের ঠিক আধ ঘণ্টার মাথায় নেইমারের স্পট কিক ঠেকাতে পারেননি তিনি।

রাকিতিচের বদলি হিসেবে খেলতে নামা মুনির এল হাদ্দাদিকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। নেইমার দৌড়ে না এসে কেবল এক পা এগিয়ে শট নিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানান।

পাঁচ মিনিট পরই ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। নেইমারের বাড়ানো বলে পা লাগিয়েছিলেন আদ্রিয়ানো। তবে বল লাগে বাইরের পোস্টে।

পাঁচ মিনিট পর সুয়ারেসের শট ডি-বক্সের ভেতর ঠেকিয়ে দেন বরিসভের এক খেলোয়াড়।

বিরতির ঠিক আগে আলভেসের ক্রসে হেড করেছিলেন মাথায় কালো পট্টি পরে খেলা নেইমার; বল একটুর জন্য ক্রসবার উঁচিয়ে যায়।

৫১তম মিনিটে সুয়ারের শট ঠেকিয়ে বরিসভকে বাঁচান গোলরক্ষক। সাত মিনিট পর মুনিরের আচমকা শটেও বল জমা পড়ে তার গ্লাভসে।

৬০তম মিনিটে অবশেষে ব্যবধান বাড়াতে পারে স্বাগতিকরা। নেইমার বাঁ দিক থেকে নিচু ক্রস দিয়েছিলেন; দারুণভাবে বল থামিয়ে এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ পায়ের বুটের আগা দিয়ে টোকায় তা জালে পাঠিয়ে দেন উরুগুয়ের তারকা ফরোয়ার্ড সুয়ারেস।

পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে ৬৭তম মিনিটে নেইমারের জোরাল শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন চেরনিক। তবে ৮৩তম মিনিটে আর ব্রাজিলের অধিনায়ককে ঠেকাতে পারেননি তিনি।

অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে সুয়ারেস ডি-বক্সে একেবারে জায়গামতো বল বাড়িয়েছিলেন। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের উদাহরণ দেখিয়ে ডান পায়ের টোকায় গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন নেইমার।

এই জয়ে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া বার্সেলোনার ‘ই’ গ্রুপ থেকে নক আউট পর্বে ওঠা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে বায়ার লেভারকুজেনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রোমা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত