স্পোর্টস ডেস্ক

১০ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:৩২

পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ড ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদের তুলনায় বাংলাদেশের অর্জন যৎসামান্য। বৈশ্বিক শিরোপা নেই। কাগজেকলমে অসম লড়াইই। কিন্তু খেলা যখন বিশ্বকাপে তখন একটু ভাবনার অবকাশ আছে বৈকি!

পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯টিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশের হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টাই সবার শেষে পেয়েছে টাইগাররা। যদিও বিশ্বকাপে দু’দলের জয়-হারের রেকর্ডে অতটা পার্থক্য নেই। ৪ ম্যাচে ফলাফল সমান ২-২।

আজ (মঙ্গলবার) বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ইংলিশদেরই মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ম্যাচভেন্যু ধরমশালা, যেখানে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল ইংলিশরা। এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ আসরের মোকাবেলায় ইংল্যান্ডকে যথাক্রমে ২ উইকেট এবং ১৫ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা।

২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হওয়ার পর নিজেদের ক্রিকেট কাঠামোতে পরিবর্তন আনে ইংল্যান্ড। এরপর ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার পুরস্কার পেয়েছিলো ইংলিশরা। বিশ্বকাপ জয়ের পথে ২০১৯ সালে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল দলটি।

সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে বাংলাদেশের চাইতে ঢের এগিয়ে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে তারা। যদিও এরপরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচেও জিতেছিল ইংলিশরা।

দলীয় সর্বোচ্চের হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অনেকটাই এগিয়ে ইংল্যান্ড। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯১ রানের বিশাল ইনিংস দাঁড় করিয়েছিল থ্রি লায়ন্সরা। আর বাংলাদেশ একবারই ৩০০ পার করেছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ৩০৫ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ।

তবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রানের হিসেবে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাই। শীর্ষে আছেন ইংলিশ ব্যাটার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। তার রান ৬১০। এরপরেই আছেন বাংলাদেশের চার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের রান ৫৭৫, তামিম করেছেন ৫৫৭ রান। আর সাকিবের সংগ্রহ ৫৪০।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চেও শীর্ষে স্ট্রাউস। টাইগারদের বিপক্ষে ১৫৪ রানের ইনিংস আছে তার। ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর তামিম ইকবালের। ২০১৭ সালে ১২৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি।

বল হাতে এই দুই দলের লড়াইয়ে সফল স্পিনাররাই। বাংলাদেশে সাকিব ২০ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষে। ইংল্যান্ডের আদিল রশিদের ঝুলিতে আছে ১৯ উইকেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত