১১ মে, ২০২৪ ১৪:৫৮
ছবি: সংগৃহীত
কোয়াসাঁ ফরাসিদের অন্যতম প্রিয় প্যাস্ট্রি। বাংলাদেশেও এই খাবারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু নিখুঁত কোয়াসাঁ কীভাবে বানানো যায়?
প্যারিসের অ্যাপিনে-সো-অর্জ এলাকায় কোয়াসাঁ তৈরি করেন আদ্রিয়া ওজানো। ২০২১ সালে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সেরা কোয়াসাঁ প্রস্তুতকারক নির্বাচিত হন আদ্রিয়া৷ মানুষ তার কোয়াসাঁর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন৷
আদ্রিয়া ওজানো ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘যখন শুনলাম আমি জিতেছি, ভালো লেগেছে, তবে চাপও অনুভূত হয়েছে৷ আর তখনো আমি জানতাম না যে আমাকে এখন দিনে ৩০০ কোয়াসাঁর পরিবর্তে ১ হাজার ২০০টি বানাতে হবে৷’
তার পুরস্কারজয়ী কোয়াসাঁ প্রস্তুত করতে দুই ধরনের ময়দা, মাখন, চিনি, খামি, ক্রিমসহ দুধ, পানি আর লবণ লাগে৷
আদ্রিয়া বলেন, ‘ময়দা খুব ভালোভাবে মাখাতে হবে, তা না হলে উপাদানগুলো ঠিকভাবে মিশবে না৷ আর কোয়াসাঁ যেভাবে ফুলে ওঠা উচিত, সেটাও হবে না৷’
এরপর তিনি ময়দা বেলে রেখে দেন৷ এরপর আসে আসল মুহূর্ত৷ তখন তিনি মাখন নিয়ে কাজ করেন৷ ফ্রান্সের বেশির ভাগ মানুষ সাধারণ কোয়াসাঁর চেয়ে মাখন মেশানো কোয়াসাঁকে আসল কোয়াসাঁ মনে করেন৷
আদ্রিয়া বলেন, ‘সাধারণ কোয়াসাঁ মার্জারিন দিয়ে তৈরি হয়, কিন্তু আমার ওটার স্বাদ ভালো লাগে না৷ খুব ভালো কোয়াসাঁর জন্য আপনার খুব ভালো মাখন প্রয়োজন৷’
আদ্রিয়া এরপর ময়দা দিয়ে মাখন ঢেকে দেন৷ তার পরামর্শ হলো, ‘আমি মাখনের দুই পাশে ময়দার ডো কেটে নিই৷ তাহলে মাখন আর ডো সমানভাবে একে অপরের ওপরে থাকে৷’
ময়দা ও মাখনের পরত ঠিক রাখতে কোয়াসাঁ ডো লেমিনেটিং করা হয়৷ ডো কয়েকবার ভাঁজ করে লেমিনেট করা হয়৷ এরপর ডোকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দেওয়া হয়৷
এরপর আদ্রিয়া ডোকে ত্রিভুজ আকারে কাটেন৷ এরপর মাঝখানে টান দিয়ে ভাঁজ করে ক্রিসেন্ট তৈরি করেন৷
তিনি মনে করেন, কোয়াসাঁ শুধু খেতে সুস্বাদু হলেই হবে না, দেখতেও ভালো হতে হবে৷
আদ্রিয়া বলেন, ‘আমি কোয়াসাঁর ওপর দুবার ডিম মিশ্রণ ছড়িয়ে দিই— একবার লেমিনেট করার পর, আরেকবার বেক করার আগে৷ সে কারণে এগুলো শুকনো হয়ে যায় না, দেখতেও ভালো লাগে, বেশি চকচক করে৷’
ভালো কোয়াসাঁ বানাতে বেশ সময় লাগে৷ ওভেন থেকে কোয়াসাঁ বের হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগে৷ তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে
আপনার মন্তব্য