ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি কককে হারিয়ে ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শুরুর সেই ধাক্কা সামলে নেন রেজা হেনড্রিকস এবং রাশি ফন ডার ডাসেন। এরপর হাল ধরেন এইডেন মার্করাম এবং হেনরিখ ক্লাসেন। শেষটায় ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ক্লাসেন এবং মার্কো জেনসেন।

এতে বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রান পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে প্রোটিয়ারা। যেটি চলতি বিশ্বকাপে দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রান তুলেছিল আফ্রিকা। তাই জিততে হলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড করতে হবে বাটলারের দলকে।

প্রোটিয়াদের রান পাহাড়ে বড় অবদান ক্লাসেন এবং জেনসেনের। মাত্র ৭৭ বলে ১৫১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি উপহার দেন দুজনে। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্লাসেন। ৬৭ বলে ১২ চার এবং ৪ ছক্কায় ১০৯ রানের ইনিংস সাজান তিনি। জেনসেন অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। তার ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ৬ ছক্কার মার।

এর আগে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২১ রানের প্রতিরোধ গড়ে তুলেন হেনড্রিকস এবং ডার ডাসেন। ডি কক মাত্র ৪ করে আউট হওয়ার পর তাদের প্রতিরোধেই শক্ত প্লাটফর্ম পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ৩৯৮ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালে সে ম্যাচটি বৃষ্টি আইনে ১৩ রানে হেরেছিল ইংলিশরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, রেসি ফন ডার ডুসন, এইডেন মার্করাম, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, গেরাল্ড কোয়েটজে, কেশব মাহরেজ, কাগিসু রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি।

ইংল্যান্ডের একাদশ: জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার, ডেভিড উইলি, আদিল রশিদ, গাস আটকিনসন, মার্ক উড, রিচ টপলে।