স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ এপ্রিল, ২০১৬ ১০:৫০

বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালের পথে অ্যাতলেতিকো

 উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নেমেছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ আর জার্মান ফেভারিট বায়ার্ন মিউনিখ। ফাইনালের টিকিট কাটতে এ ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক অ্যাতলেতিকো। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন স্প্যানিশদের তারকা সাউল। ফিরতি লেগের ম্যাচে বায়ার্নের মাঠে আতিথ্য নেবে অ্যাতলেতিকো।

অ্যাতলেতিকোর ঘরের মাঠ এস্তোদিও ভিসেন্তে কালদেরনে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে একটায় আতিথ্য নেওয়া বায়ার্ন মাঠে নামে।

ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই দলের মধ্যেই। গোলের জন্য মরিয়া ছিল দিয়েগো সিমিওনের অ্যাতলেতিকোর শিষ্যরা। তবে, ছেড়ে কথা বলতে নারাজ ছিল আতিথ্য নেওয়া পেপ গার্দিওলার বায়ার্ন শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়ে খেলেছে বায়ার্ন। তবে, জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি তারা।

স্বাগতিক অ্যাতলেতিকো ৪-৪-২ ফরমেশনে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন ওব্লাক, হুয়ানফ্রান, জিমিনেজ, স্যাভিক, লুইস, সাউল, গ্যাবি, ফার্নান্দেজ, কোকে, ফার্নান্দো তোরেস আর অ্যান্থনি গ্রিজম্যান। অপরদিকে, ৪-৩-৩ ফরমেশনে বায়ার্নের হয়ে মাঠে নামেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ের, ফিলিম লাম, মার্টিনেজ, আলাবা, বার্নাট, থিয়াগো, জাবি অলোনসো, ভিদাল, কোমান, কস্তা আর লেভানোডস্কি।

ম্যাচের ১১তম মিনিটে লিড নেয় স্বাগতিক অ্যাতলেতিকো। ফার্নান্দেজের থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় বায়ার্নের ডি-বক্সে প্রবেশ করেন সাউল। প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলবারের কোনাকুনি শট নেন তিনি। বায়ার্ন গোলরক্ষক ন্যুয়ের ঝাঁপিয়ে পড়লেও দলকে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ফলে, ১-০ তে এগিয়ে যায় অ্যাতলেতিকো।

পরের মিনিটেই সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। ভিদালের দারুণ একটি প্রচেষ্টা নষ্ট করে দেন স্বাগতিক ফুটবলার জিমিনেজ। খেলার ২৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেন গ্রিজম্যান। গোলবারের একেবারে কাছে এসে জোরালো শট নেন তিনি। তবে, এবারো জার্মান প্রাচীর ন্যুয়ের দলকে রক্ষা করেন।

দুই দলের আরও বেশ কয়েকটি ছোটো ছোটো বিক্ষিপ্ত আক্রমণ হলেও তা থেকে গোল হয়নি। ফলে, ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় অ্যাতলেতিকো।

বিরতির পর অ্যাতলেতিকোকে চেপে ধরে বায়ার্না। অতিথিদের দুর্দান্ত সব আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সিমিওন শিষ্যরা। ৪৮তম মিনিটে লেভানোডস্কি, ৫৬তম মিনিটে মার্টিনেজের পর ৬০ মিনিটের মাথায় দগলাস কস্তার জোরালো শটে কেঁপে উঠে অ্যাতলেতিকো। শেষেরবার কেঁপে উঠেছিল অ্যাতলেতিকোর গোলপোস্ট।

৬৪ মিনিটে কোমানের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন বায়ার্ন তারকা ফ্রাঙ্ক রিবেরি। ৭০ মিনিটে দলের শক্তি বাড়াতে গার্দিওলা থিয়াগোকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান থমাস মুলারকে।

৭৪ মিনিটে ভিদালের জোরালো শট রুখে দেন অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষক ওব্লাক। তবে, পরের মিনিটে ব্যবধান প্রায় বাড়িয়েই নিয়েছিল অ্যাতলেতিকো। তোরেসের বুলেট গতির শট ফাঁকি দেয় ন্যুয়েরকে। বাতাসে ভেসে বল গিয়ে পোস্টে লাগে। ফিরতি বলে শট নেন কোকে। তবে, এবার আর ন্যুয়েরকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি স্বাগতিকদের। জার্মান এই প্রহরী আগলে রাখেন নিজেদের গোলপোস্ট। বামদিকে ঝাঁপিয়ে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি।

ম্যাচের শেষ মিনিটে আরও দু’বার অ্যাতলেতিকোকে কাঁপিয়ে দেয় বায়ার্ন তারকারা। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিয়েগো সিমিওনের অ্যাতলেতিকো। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে অ্যাতলেতিকো আতিথ্য নেবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্নের মাঠে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত